তামিল ভাষায় তিনি 'থালাপতি'। আদরের এই নামের অর্থ কমান্ডার। বিজয়কে এই নামেই ডাকেন তামিল সিনেমাপ্রেমী জনতা। তামিল সংস্কৃতিতে সিনেমা থেকে রাজনীতিতে পা রাখার ঘটনা নতুন কিছু না। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন বিজয়। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি তাঁর রাজনৈতিক দল, তমিজহাগা ভেট্রি কাজগাম চালু করার কথা ঘোষণা করলেন। এর আগে জয়ললিতা, কিংবদন্তি এমজি রামচন্দ্রন (এমজিআর)-কে সিনেমা থেকে তামিল রাজনীতিতে পা রাখতে দেখেছে দেশবাসী।
- নতুন দল ঘোষণা করেছেন বিজেপি।
- এমজিআর, জয়ললিতারা সিনেমা থেকে রাজনীতিতে এসেই সাফল্য পেয়েছেন।
- কমল হাসান অবশ্য বিশেষ সাফল্য পাননি।
তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দৃশ্যপট
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এতদিন দুটি দল, দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজঘাম (DMK) এবং সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজঘাম (AIADMK) আধিপত্য চালিয়েছে। এই জোট একসঙ্গে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোটের অধিকারী। বাকি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট, এখনও কোনও দলের দখলে নেই। এই ভোটটাই দখলের চেষ্টা চালাবেন বিজয়। যা গত তিন দশক ধরে অনেক রাজনৈতিক দলই পাখির চোখ করেছে। এই লক্ষ্য নিয়েই ১৯৯৬ সালে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জিকে মুপানার তামিল মানিলা কংগ্রেস (টিএমসি) চালু করেন। ২০০৫ সালে 'ক্যাপ্টেন' বিজয়কান্ত, দেশিয়া মুরপোক্কু দ্রাবিড় কাজঘাম (DMDK) চালু করেছিলেন। এঁরা অবশ্য কেউ চলচ্চিত্র তারকা বিজয়ের মত জনপ্রিয় ছিলেন না। তারমধ্যে বিজয়কান্ত কিন্তু, তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি স্বল্পস্থায়ী হলেও একটি রাজনৈতিক চিহ্ন তৈরি করেছিলেন।
অতীতে কম চেষ্টা হয়নি
চলচ্চিত্র পরিচালক সীমান ২০০৯ সালে তাঁর তামিল জাতীয়তাবাদী দল, 'তামিলর কাচি (এনটিকে)' তৈরি করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুতে ধারাবাহিক রাজনৈতিক পরিচয় তৈরি করেন। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পাট্টালি মক্কাল কাচি (পিএমকে)-এর নেতা আম্বুমণি রামদোস নিজেকে 'পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী' হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু ডিএমকে-এআইএডিএমকে-কে পরাজিত করতে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিরাট পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কী জানালেন সীতারামন?
ব্যর্থ হয়েছেন কমল হাসানও
অভিনেতা কমল হাসানের মক্কল নিধি মাইম (এমএনএম) ২০১৮ সালে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' ডিএমকে ও এআইএডিএমকে-র বিকল্প হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবে হাসান, নির্বাচনী আকর্ষণ তৈরি করতে ব্যর্থ হন। আর, ডিএমকে-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে বর্তমানে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে অন্তত একটি লোকসভা আসন পাওয়ার জন্য আলোচনা করছেন। বিজেপির কে আন্নামালাই, একজন আইপিএস অফিসার। তিনিও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন। এই সমস্ত পরিসংখ্যানগুলোর মধ্যে, বিজয়ের ব্যাপারটা আলাদা। কারণ, তাঁর জনপ্রিয়তা অনন্য।