The Central Board of Secondary Education (CBSE): সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) ৯ থেকে ১২ শ্রেণি পর্যন্ত খোলা বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বিবেচনা করছে। এই ব্যাপারে একটি প্রাথমিক পরিকল্পনাও করেছে। সেই অনুযায়ী, নবম এবং দশম শ্রেণিতে ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে এবং একাদশ আর দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজি, গণিত এবং জীববিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোর পরীক্ষায় বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হয়েছে।
- সিবিএসই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরও সাহায্য চেয়েছে।
- সিবিএসই ২০১৪ সাল থেকেই ওপেন টেক্সট ভিত্তিক মূল্যায়ন বা (ওবিটিএ) চালু করেছে।
- গত বছরই সিবিএসই ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিএফ) প্রকাশ করেছে।
প্রাথমিক পরিকল্পনা
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাছাই স্কুলগুলোয় এনিয়ে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরই সিবিএসই ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিএফ) প্রকাশ করেছে। এবার তার ভিত্তিতে জাতীয়স্তরে মূল্যায়নের কথা ভাবছে। বোর্ডের লক্ষ্য, প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে, ছাত্রদের এবং শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ। তা খতিয়ে দেখা। এই নতুন পরীক্ষা ব্যবস্থা জুনের মধ্যেই চালু করা হবে। যার জন্য সিবিএসই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরও সাহায্য চেয়েছে।
বই খুলে পরীক্ষা
বই খোলা রেখে পরীক্ষা বা ওবিই ব্যবস্থায় পড়ুয়াদের বইয়ের বা নোটের কথা উল্লেখ করে দিতে হবে। কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কিছু শর্ত রাখতে পারে। আবার না-ও পারে। এমন হতে পারে, যে স্টাডি মেটেরিয়াল পরীক্ষা নিয়ামক অনুমোদন করবেন, কেবল সেই বই পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা যেতে পারে। আবার, পড়ুয়ারা চাইলে যে কোনও বই বা স্টাডি মেটেরিয়াল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে পারবেন, এমন ছাড়ও দেওয়া যেতে পারে। অবশ্য বই খুলে লিখতে দেওয়া হলেও পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাপারটা কিন্তু, মোটেই সহজ থাকছে না। এতদিন বই ছাড়া পরীক্ষায় যেভাবে সরাসরি প্রশ্ন করা হত, এক্ষেত্রে কিন্তু, প্রশ্ন তত সরাসরি করা হবে না। বরং, প্রশ্ন আসবে বেশ ঘুরিয়ে। কোন প্রশ্নের কোন উত্তর, সেটা পড়ুয়াকেই পরীক্ষার কেন্দ্রে বসে বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি, খোলা বইয়ের মাধ্যমে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর বিশ্লেষণী দক্ষতাও খতিয়ে দেখা হবে।
এই পরীক্ষা ব্যবস্থা কতটা নতুন?
পরীক্ষা ব্যবস্থা অবশ্য নতুন কিছুই নয়। সিবিএসই ২০১৪ সাল থেকেই ওপেন টেক্সট ভিত্তিক মূল্যায়ন বা (ওবিটিএ) চালু করেছে। এর লক্ষ্য, ছাত্রদের তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা খতিয়ে দেখা। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের ওপর থেকে শিক্ষাবোঝা হ্রাস করা। আর, তখন থেকেই নবম শ্রেণিতে হিন্দি, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞানে এই ব্যবস্থা চালু আছে। আর, একাদশ শ্রেণিতে অর্থনীতি, জীববিজ্ঞান এবং ভূগোলের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ওবিটিএ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।