চাঁদ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আগন্তুককে স্বাগত জানাবে। চন্দ্রযান-৩ ইতিমধ্যেই তার দরজায় কড়া নাড়ছে। ২৩ বা ২৪ আগস্ট সম্ভবত চন্দ্রযান-৩ চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে। রাশিয়ার লুনা ২৫ মহাকাশযান চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করবে। চন্দ্রযান-৩ এর মতো একই সময়ে ওই মহাকাশযানও চাঁদের পৃষ্ঠ স্পর্শ করবে। তার ঠিক পরপরই জাপানের স্লিম (স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন) এই চন্দ্র অভিযানের পার্টিতে যোগ দেবে। স্লিমের উৎক্ষেপণ হবে ২৬ আগস্ট।
Advertisment
সব অভিযান রোবট পরিচালিত না তবে স্লিম কবে অবতরণ করবে, সেই সময়সীমা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যদি এটি চাঁদে দ্রুত পৌঁছয়, তবে উৎক্ষেপণের দুই সপ্তাহের মধ্যেই পৌঁছবে। আর, এই প্রথম তিনটি মহাকাশযান প্রায় একই সময়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। এটাই কিন্তু, শেষ নয়। এখনও পর্যন্ত যা কথা, তাতে এমন অভিযান কিন্তু, আগামী দিনগুলোতেও চলবে। তার সবগুলো আবার শুধু যন্ত্র বা বোরট পরিচালিত হবে না। যেমন, এই বছরের শেষের দিকে আরও দুটি চন্দ্র অভিযান হওয়ার কথা আছে। যাতে অভিযাত্রীরা থাকবেন। আগামী তিন বছরে এই তালিকায় কমপক্ষে পাঁচটি অভিযান হওয়ার কথা। সংখ্যাটা বাড়তেও পারে।
অভিযান শুরুর গোড়ার কথা মহাকাশ অভিযান যুগের ভোরের দিকে অর্থাৎ ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকে এমনভাবেই কিন্তু চাঁদে যাওয়ার তাড়া লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম মহাকাশযান, স্পুটনিক পাঠাতে সফল হয়। তার পরপরই চাঁদে অভিযানের লাইন পড়ে যায়। সেই সময়, তিন বছরের মধ্যে চাঁদে যাওয়ার জন্য ১৪টি চেষ্টা হয়েছিল। তার বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে। তবে অন্তত তিনটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল। যার মধ্যে ছিল লুনা-৩। এই মহাকাশযান, ১৯৫৯ সালে চাঁদে উড়েছিল এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রথম ছবি তুলেছিল।
আমেরিকা-সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিযোগিতা ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন ইউএসএসআর বা সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে চাঁদে যাওয়ার জন্য একটি অবিশ্বাস্য প্রতিযোগিতা দেখা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ঐতিহাসিক ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ চাঁদের পৃষ্ঠে নেমেছিল। যা মানুষকে প্রথমবার চাঁদে পা রাখার সুযোগ দিয়েছিল। সেই এক দশকে মোট ৫৫টি চন্দ্র অভিযান চালানো হয়েছিল। গড়ে হিসেব করলে বছরে প্রায় পাঁচটি।