চলতি বছরের মে মাসে দিল্লিতে খুন হয়েছেন বছর ২৭-এর শ্রদ্ধা ওয়াকার। পুলিশ ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধার ২৮ বছর বয়সি লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করেছে। জেরায় আফতাব এই খুনের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশকে সে জানিয়েছে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। তারপর সেই টুকরো প্লাস্টিকের ময়লা ফেলার প্যাকেটে ভরে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছে। এই ভয়াবহ নৃশংসতার কথা মাথায় রেখে পুলিশ আফতাবের নার্কো টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এজন্য আদালতের কাছে আবেদনও করেছে। কারণ, আদালতের অনুমতি ছাড়া পুলিশ নার্কো টেস্ট করতে পারে না। সাধারণত জটিল এবং হাই-প্রোফাইল মামলার তদন্তে পুলিশ নারকো টেস্টের সাহায্য নেয়। ২০০২ গুজরাট দাঙ্গা মামলা, আবদুল করিম তেলগির জাল স্ট্যাম্প পেপার কেলেঙ্কারি, ২০০৭ সালে নিঠারি গণহত্যা মামলা, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলায় ধৃত জঙ্গি আজমল কাসভ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় নার্কো টেস্ট হয়েছে।
এর মধ্যে নয়ডায় আরুশি তলওয়ার হত্যা মামলায় নার্কো টেস্টের একটি ভিডিও গণমাধ্যমে ফাঁসও হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে মেয়ে শিনা বরা হত্যা মামলায় ধৃত ইন্দ্রাণী মুখার্জি লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দিয়েছিল যে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তাই লাই ডিটেক্টরের দরকার পড়বে না। এর পাশাপাশি, ২০১৯ সালে এক সিবিআই আদালত উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে ড্রাইভার এবং একজন ক্লিনারের ওপর নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘ভেঙে দেওয়া হোক স্কুল সার্ভিস কমিশন’, কেন এই বেনজির পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের?
২০২০ সালে, উত্তরপ্রদেশ সরকার হাথরাসে ১৯ বছর বয়সি দলিত মহিলাকে হত্যা এবং গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার, অভিযুক্ত এবং কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে অভিযুক্ত সরকারি কর্মীদের ওপর নার্কো পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু, নির্যাতিতার পরিবার সেই পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করে। নার্কো পরীক্ষায়, যাঁর ওপর পরীক্ষা হচ্ছে, তাঁর শরীরে সোডিয়াম পেন্টোথাল ড্রাগ প্রবেশ করানো হয়।
এর ফলে সেই ব্যক্তি সম্মোহিত হয়ে যায়। সে তখন বাধা দেওয়ার অবস্থায় থাকে না। যখন সে সম্মোহিত অবস্থায় থাকে, তখন তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে উত্তর দেয়। সোডিয়াম পেন্টোথাল ওষুধটি নিয়মিতভাবে সার্জিকাল পদ্ধতিতে সাধারণ অ্যানাস্থেসিয়া করার জন্য এবং মানসিক রোগ নির্ণয়ের জন্য মনোরোগবিদ্যার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়।
Read full story in English