পৃথিবীর যেমন ঘড়ি-ঘণ্টা আছে, তেমনই চাঁদের জন্যও সময় বা ঘড়ি-ঘণ্টা নির্ধারণ করতে চান বিজ্ঞানীরা। এই ব্যাপারে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের জন্য একটি সর্বজনগ্রাহ্য সময়ের ব্যবস্থা করা জরুরি। তবে, সেই ব্যবস্থা করার জন্য অনেক কাজ করা এখনও বাকি।
চাঁদে ক'টা বাজে?
মহাকাশ চর্চার উষালগ্ন থেকে বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। চাঁদে এখনও পর্যন্ত সময়ের ব্যাপারটা আপেক্ষিক। কয়েক দশক ধরে, বিভিন্ন দেশ চাঁদের সময় রাখছে। কিন্তু, যেভাবে রাখছে, সেটা আপেক্ষিক ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থাৎ, যে দেশ চন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে, তারা নিজেদের দেশের সময় অনুযায়ী চাঁদের সময় রাখছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশ চাঁদে অভিযান চালিয়েছে। তাই ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বক্তব্য, এভাবে একই চাঁদের আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ মহাকাশ বিজ্ঞানের গতিকে স্থগিত করবে।
সমন্বয় জরুরি
সেই কারণেই একটি সর্বজনগ্রাহ্য সময় নির্ধারণ করতে চাইছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা। যে সময় ধরে চাঁদের ঘড়ি-ঘণ্টা মাপা যাবে। এই ব্যাপারে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ব্রাইস ডেলান্ড্রিয়া বলেন, 'ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এই ব্যাপারে আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছে না। আমরা কেবল একটা সমস্যার দিকে আঙুল তুলেছি, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু, এটি এমন একটি বিষয়, যার জন্য আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও ঐকমত্য দরকার।'
আরও পড়ুন- ভিনরাজ্যে গিয়ে বিপাকে, কেন বারবার লাঞ্ছনার মুখে পরিযায়ী শ্রমিকরা?
সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়
ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মতে, এই সমন্বয় এবং ঐকমত্যের মূল লক্ষ্য হবে চাঁদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণ। ইউরোপীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা জানিয়েছে, চাঁদে এবং তাকে ঘিরে মহাকাশযান পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে প্রথমে সমন্বয় ঘটাতে হবে। পাশাপাশি, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। সেই সব সরকারি এব বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। বর্তমানে জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মত বিভিন্ন দেশ চাঁদে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সব দেশগুলোর মধ্যেও সমন্বয় ঘটাতে হবে বলেই জানিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।