কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট ঘোষণাগুলো ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নতুন আর্থিক বছরে কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেতনভোগী ব্যক্তিদের পুরনো কর ব্যবস্থা (ছাড় ও কর-সহ) এবং নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যে যে কোনও একটাকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। এই করব্যবস্থাকে গত ফেব্রুয়ারি মাসের বাজেটে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। যেহেতু কোম্পানিগুলো চলতি মাসের গোড়ায় বেতন থেকে মাসিক করের অর্থ কাটা শুরু করবে, তাই কর্মীদের তাদের নিয়োগ কর্তাদের জানাতে হবে, তাঁরা OTR বা পুরোনো কর ব্যবস্থায় থাকতে চান, না NTR বা নতুন কর ব্যবস্থা চান?
বাজেটে কী ঘোষণা করা হয়েছে?
সীতারামন পুরোনো কর ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন ঘোষণা করেননি। তিনি নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে, করছাড়ের সীমা আগের ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতিবছর ৭ লক্ষ টাকা করেছেন। এর মানে হল, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের লোকদের কোনও কর দিতে হবে না। তবে, করযোগ্য আয় ৭ লক্ষ টাকার বেশি হলে, নতুন ব্যবস্থার অধীনে প্রযোজ্য ধাপ অনুযায়ী কর দিতে হবে। শুধু তাই নয়, সরকার নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে করদাতাদের ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধাও বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হওয়া আর্থিক বছর পর্যন্ত, এই ছাড়টি শুধুমাত্র পুরোনো করব্যবস্থার অধীনস্ত করদাতাদের জন্যই ছিল।
আরও পড়ুন- লোকসভায় কীভাবে ৫ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জিতবেন, জানাচ্ছে পাতিলের পাঠশালা
আয়ের ধাপ ও কর পরিবর্তনের ঘোষণা
সরকার নতুন কর ব্যবস্থায় আয়ের ধাপ এবং করের হারে পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে। করের ধাপ সাত থেকে কমিয়ে ছয় করা হয়েছে। গত বছর পর্যন্ত ১২.৫ বা সাড়ে ১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের ওপর প্রযোজ্য করের হার ছিল ২৫ শতাংশ। সেটা এবার সরানো হয়েছে। বদলে ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকার ওপর ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ওপর ২০ শতাংশ আর ১৫ লক্ষ টাকার ওপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য হয়েছে।