সোমবার লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ২১ বন্দুকের শব্দে অভিবাদনের অঙ্গ হিসেবে প্রথমবার ব্যবহৃত হল দেশীয়ভাবে তৈরি হাউইটজার আগ্নেয়াস্ত্র। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO এই আগ্নেয়াস্ত্রকে অত্যাধুনিক করে তুলেছে। অ্যাডভান্সড টোয়েড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) নাম পরিচিত হাউইটজার দীর্ঘদিন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অঙ্গ। ব্রিটেনের গোলন্দাজ বাহিনীতে এই অস্ত্রের ব্যবহার প্রচলিত। তাকেই আধুনিক রূপ দিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই বন্দুকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, 'আজ, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে প্রথমবার, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি গোলন্দাজ বাহিনীর বন্দুক, ২১-বন্দুকের স্যালুটে ব্যবহার করা হল। তিরঙ্গাকে দেওয়া স্যালুটের সময় এই বন্দুকের শব্দে সমস্ত ভারতীয় অনুপ্রাণিত হবেন। সেই কারণেই, আজ আমি কাঁধে সংগঠিত ভাবে আত্মনির্ভরতার দায়িত্ব তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
২১ গান স্যালুটের ঐতিহ্য
প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় তিরঙ্গা উত্তোলনের পর সামরিক ব্যান্ডের সঙ্গে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। সেই সময় গোলন্দাজ বাহিনীর একটি রেজিমেন্ট ২১ বন্দুকের গুলিতে তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানায়। বন্দুকের মাধ্যমে স্যালুটের এই প্রথা ইউরোপের দেশগুলো থেকে এসেছে। যেখানে বন্দরে আসা এবং তীরে এসে ভিড়ে যাওয়া জাহাজের থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে গুলি চালানো হত অভিবাদন জানানোর জন্য।
আরও পড়ুন- জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের নিয়মগুলো কী কী?
পরবর্তী সময়ে রাজা, রাজপরিবারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর কর্তাদের অভিবাদন জানাতেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। ১০১ বার, ৩১ বার, ২১ বার গুলি ছোড়ার মাধ্যমে অভিবাদনের কায়দা ব্রিটেনের থেকেই ভারত শিখেছে। ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস, রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে এভাবেই অভিবাদন জানানো হয়। বছরের পর বছর ধরে, এই ২১ বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজে স্যালুট বিশ্বযুদ্ধের যুগে ব্রিটিশদের একটা কায়দা ছিল। হাউইটজারের সাহায্যে এই শব্দের মাধ্যমে অভিবাদন 'অর্ডন্যান্স কুইক ফায়ার ২৫ পাউন্ডার' বা শুধু '২৫ পাউন্ডার' নামে পরিচিত ছিল।
Read full story in English