নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে একটি নোটিস জারি করেছে যাতে ছয় দশকেরও বেশি পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (আইডব্লিউটি) সংশোধন করা হয়। সিন্ধু জলচুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু প্রণালীতে ছয়টি নদীর জল বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করে। নয়াদিল্লি বলেছে যে নোটিসটি চুক্তিটি বাস্তবায়নে পাকিস্তানের ক্রমাগত 'অনিচ্ছা'র জেরেই দেওয়া হল। পাকিস্তান বারবার ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছে। তারপর ২৫ জানুয়ারি সিন্ধুর জলের কমিশনারের মাধ্যমে পাঠানো নোটিসটি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন সংশোধন করার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধন করতে সরকারিস্তরে আলোচনায় বসতে হবে দুই দেশকে। বিষয়টি বিবেচনা করতে পাকিস্তানকে ৯০ দিনের সময় দিয়েছে ভারত।
সিন্ধু জলচুক্তি ও সংশোধন
সূত্রের খবর, এই নোটিস প্রক্রিয়াটি গত ৬২ বছরের আন্তর্জাতিক জলচুক্তিকেও সংশোধন করবে। ভারতের দেওয়া নোটিসে বলা হয়েছে চুক্তির ধারা XII (3)-এ বলা হয়েছিল, প্রয়োজনমতো বিভিন্ন সময়ে পূর্ব চুক্তির ভিত্তিতে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি সংশোধন করা যাবে। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি সংশোধনের প্রক্রিয়া ভারত শুরু করেছে বলেও সূত্রের খবর।
ভারতের নোটিসের কারণ
জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি নিয়ে বিরোধের ইতিহাস দীর্ঘ। ভারত যে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে, তা নিয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা দীর্ঘদিনের। এই দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মধ্যে একটি ঝিলামের উপনদী কিষাণগঙ্গায়, অন্যটি চেনাবের ওপর তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান এই প্রকল্পগুলোতে আপত্তি তুলেছে। সিন্ধু জলচুক্তির অধীনে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের নোটিস তারই জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন, জালিয়াতির অভিযোগ, কী এই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ
পাকিস্তানের অবস্থান বদল
যাই হোক, পাকিস্তানের বিরোধ নিয়ে এখনও কোনও পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ২০১৫ সালে পাকিস্তান বলেছিল যে কিষাণগঙ্গা এবং রাটল এইচইপিগুলোর প্রযুক্তিগত আপত্তি পরীক্ষার জন্য একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা উচিত। কিন্তু পরের বছর, পাকিস্তান একতরফাভাবে এই অনুরোধ প্রত্যাহার করে। পাশাপাশি প্রস্তাব দেয় যে একটি সালিশি আদালতে যাওয়ার। যে আদালত পাকিস্তানের আপত্তির বিষয়ে রায় দেবে।
Read full story in English