আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধের জন্য শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দ্বিতীয় রুশ কর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
কেন পরোয়ানা জারি হল?
আদালত বলেছে যে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ এবং নির্বাসনের জন্য পুতিন ব্যক্তিগতভাবে অপরাধী। আদালত শিশুদের অধিকারের কথা মাথায় রেখে রাশিয়ার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে একটি ওয়ারেন্টও জারি করেছে। লভোভা-বেলোভা, রাশিয়া পরিপোষিত অনুষ্ঠানের মুখ ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে ইউক্রেনীয় শিশু-কিশোরদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আদালতের বক্তব্য
আদালত এক বিবৃতিতে বলেছে, 'একথা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে প্রতিটি সন্দেহভাজন জনসংখ্যার বেআইনি নির্বাসন এবং ইউক্রেনের দখলকৃত এলাকা থেকে রুশ ফেডারেশনে জনসংখ্যা বেআইনিভাবে স্থানান্তরের পিছনে যুদ্ধাপরাধ দায়ী।' অক্টোবরে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্ত, রাশিয়ার পদ্ধতিগত পুনর্বাসন প্রচেষ্টার শিকার বেশ কিছু ইউক্রেনীয় শিশুকে শনাক্ত করেছে। ওই শিশুরা তাঁদের ওপর জবরদস্তি, প্রতারণা এবং বলপ্রয়োগের বর্ণনা দিয়েছে। অবশ্য দাবি করেছে, তারা মানবিক কারণে ওই শিশুদের ইউক্রেন থেকে সরিয়েছে।
আইনজীবীদের সতর্কবাণী
আইসিসির মামলার সাথে পরিচিত আইনজীবীরা সম্প্রতি বলেছিলেন যে তাঁরা গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবেন। কারণ, তাঁদের কাছে পুতিন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। শুক্রবার, আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটা মনে রাখা দরকার যে, 'এই ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে বাধা দিলে, সেটা আরও বড় অপরাধের আওতায় পড়া হবে।'
আরও পড়ুন- বিদেশে মন্তব্যের জন্য রাহুল কি লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হবেন? কী বলছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা?
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কী?
দুই দশক আগে ১৯৯৮ সালে রোম সংবিধি নামে পরিচিত এক চুক্তির অধীনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি স্থায়ী সংস্থা হিসেবে তৈরি হয়েছিল। পূর্বে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুগোস্লাভিয়া এবং রুয়ান্ডার মতো জায়গায় নৃশংসতা রুখতে সাময়িক আদালত গঠন করেছিল। এই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত নেদারল্যান্ডের শহর হেগ-এ রয়েছে। হেগ শহর দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক আইন ও বিচারের অন্যতম কেন্দ্রস্থল।