চলতি সপ্তাহের শুরুতে, তিন মূর্তি কমপ্লেক্সে অবস্থিত নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (NMML) এর নাম পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর যাদুঘর ও গ্রন্থাগার (PMML) করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে অনেকে অবাক হয়েছেন। কারণ, ১৬ বছর ধরে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন ছিল তিন মূর্তি হাউস। প্রকৃতপক্ষে, তিনমূর্তি হাউস প্রায় ছয় দশক আগে নেহরুর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণান নেহরুকে উত্সর্গ করে এই তিনমূর্তি হাউসকে স্মৃতিসৌধে পরিণত করেছিলেন।
২০১৪ পরবর্তী ধারণা ও উত্তরাধিকার
২০১৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রাঙ্গনে ভারতের সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের জন্য একটি যাদুঘর স্থাপনের ধারণাটি উত্থাপন করেছিলেন। এই ধারণাটি কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা ও বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে এনএমএমএল এবং তিনমূর্তি ভবনের 'প্রকৃতি ও চরিত্র পরিবর্তন' করার চেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
সরকারের সাফাই ছিল
যাইহোক, তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সন্দেহ দূর করার চেষ্টা করেছিলেন। মহেশ শর্মা বলেছিলেন যে নতুন যাদুঘর নির্মাণের সময় বা পরে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের কোনও অংশ স্পর্শ করা হবে না। একইসঙ্গে মহেশ শর্মা জানিয়েছিলেন যে জমির মালিকানা নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। কারণ, জমির মালিকানা সরকারের।
আরও পড়ুন- মণিপুরে হিংসা থামাতে গিয়ে বিতর্কে অসম রাইফেলস, কেন এই বাহিনী একদম আলাদা?
বাস্তবে যেটা হল
তারপরও ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকল্পের ভূমিপূজন অনুষ্ঠানের ১৪ দিনের মধ্যে সরকার ৩৪ সদস্যের NMML সোসাইটিতে বড় পরিবর্তন আনে। ২০১৬ সালেই রাজনৈতিক চাপের কথা উল্লেখ করে NMML ত্যাগ করেছিলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রতাপভানু মেহতা। অর্থনীতিবিদ নীতিন দেশাই, আমলা বিপি সিং ও অধ্যাপক উদয়ন মিশ্রের বদলে সোসাইটিতে ঢোকানো হয় রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধে, টেলিভিশন উপস্থাপন অর্ণব গোস্বামী ও ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টসের রাম বাহাদুর রাই ও তৎকালীন প্রাক্তন বিদেশসচিব এস জয়শংকরকে। যেন রীতিমতো পরিকল্পনা করে যা করার সব করা হয়েছে।