Advertisment

Explained: কোন পরিস্থিতিতে তার কবল থেকে ভারতকে মুক্তি দিল ব্রিটেন?

চিনের হাতে ১৯৯৭ সালে হংকং তুলে দিয়েছে ব্রিটেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jawaharlal Nehru

নেহেরু মাউন্টব্যাটেনকে স্বাগত জানান। ভারতে পৌঁছে মাউন্টব্যাটেন সিদ্ধান্ত নেন যে উপমহাদেশে 'আরও রক্তপাত এড়াতে' একটি দ্রুত এবং অবিলম্বে প্রস্থানের নীতি গ্রহণ করাই সর্বোত্তম উপায়।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটেছিল। যা ছিল স্বাধীনতার জন্য পরাধীন ভারতবাসীর কয়েক দশকের সংগ্রামের একটি তেতো-মিঠে পরিণতি। দিনটি ভারতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি আজও অনুভব করছেন দেশবাসী। এটি ব্রিটিশ ইতিহাসেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। কারণ, এই দিনেই একসময়ের অদম্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটেছিল ভারত থেকে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারতের বাদ চলে যাওয়া ব্রিটেনের জন্য ঠিক কতখানি ক্ষতি ছিল, তা উইনস্টন চার্চিলের বাবা লর্ড র‍্যান্ডলফ চার্চিলের মন্তব্যেই পরিষ্কার।

Advertisment

'ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন'
লর্ড র‍্যান্ডলফ চার্চিল বলেছিলেন, 'ভারতকে হারিয়ে ফেলা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন চিহ্নিত করবে। এ এক এমন ক্ষতি, যা কোনওদিন পূরণ করা সম্ভব নয়।' তবে, লর্ড র‍্যান্ডলফের কথা অনুযায়ী, 'বিপর্যয়' হোক। অথবা না-হোক। ১৯৪৭ সালের পর কিন্তু, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সত্যিই ভেঙে পড়েছিল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে, ব্রিটেনের বাইরে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা জনসংখ্যা ৭০ কোটি থেকে মাত্র ৫০ লক্ষ-এ নেমে আসে। যার মধ্যে ৩০ লক্ষ মানুষ আবার বসবাস করতেন হংকংয়ে। যা ১৯৯৭ সালে চিনকে হস্তান্তর করেছে ব্রিটেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর্থিক সংকট
ব্রিটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পরও সামরিক এবং আর্থিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। ১৯৪৫ সাল নাগাদ ব্রিটেনের কোষাগার প্রায় খালি হয়ে যায়। কারণ, ব্রিটেন যুদ্ধের জন্য বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল। একইসঙ্গে, যুদ্ধের পরে পুনর্গঠনের জন্য ব্রিটেনের বিপুল সম্পদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। খাদ্য সংকটের কারণে রেশনিং ব্যবস্থা ব্রিটেনে চালু করা হয়েছিল। বহু মানুষ হতাহত হওয়ায় শ্রমের বিপুল ঘাটতি দেখা দেয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে ব্রিটিশ শহরগুলোর পরিকাঠামোও পুরোদস্তুর ভেঙে পড়েছিল।

আরও পড়ুন- ন্যায্য মূল্যের ওষুধের রমরমা বিক্রি, তার বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ করছেন ডাক্তাররা?

ব্যয় হ্রাস ছিল উপায়
এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তনের জন্য দরকার ছিল উপনিবেশ তৈরি করা। কিন্তু, ব্রিটেনের কাছে আর উপনিবেশ রক্ষণাবেক্ষণের মত সম্পদ ছিল না। অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস যুদ্ধ-পরবর্তী ব্রিটেনের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন, 'আর্থিক দুর্দশা মোকাবিলা করার মত শক্তি আর ব্রিটেনের ছিল না। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের কাছে সমাধানের একমাত্র রাস্তা ছিল সাম্রাজ্যের ওপর চেপে বসা ব্যয় হ্রাস।'

Independence Day British Jawaharlal Nehru
Advertisment