/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/Julian-Alvarez-2.jpg)
মেসির সঙ্গে আলভারেজ
লিও মেসিকে আদর্শ করে উঠে এসেছে জুলিয়ান আলভারেজ। একদশক আগের এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রাক-কিশোর আলভারেজ তার আদর্শের সঙ্গে ছবি তোলার সময় গাল ভরে হাসছেন। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের রাতে (১৩ ডিসেম্বর), সেই আলভারেজই মেসির সহায়তা থেকে ছবির মত গোল করেছেন। এই ম্যাচে মোট দুটি গোল করেছেন আলভারেজ। একটি করেছেন ৩৯ মিনিটে। অপরটি, ৬৯ মিনিটে। যাঁকে আদর্শ করে উঠে এসেছেন, তাঁর সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ম্যাচ খেলা। তাঁর বাড়ানো পাস থেকে গোল করা, সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের পর যেন একশোয় একশো পাচ্ছেন আলভারেজ।
10 years ago: asking Leo Messi for a pic as big fan, dreaming of World Cup one day…
Tonight: Julián Álvarez from Calchín scores in World Cup semifinal.
🕷️🇦🇷 #Qatar2022pic.twitter.com/DhwozBijJu— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) December 13, 2022
ক্যালচিনের ফুটবল-পাগল ছেলে
আলভারেজের জন্মস্থান মেসির জন্মস্থান রোজারিও থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ছোট শহর ক্যালচিনে। মা-বাবা দুজনেই শ্রমিক। আর্জেন্টিনার অন্যান্য জায়গার মত, ক্যালচিনেও ফুটবল সংস্কৃতির বাহক। তার মধ্যে আলবিসেলেস্তের বিশেষ নামডাক আছে। ছোট থেকে জুলিয়ানও ফুটবলে আচ্ছন্ন ছিল। দু'চোখে ভাসত বড় হয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন। স্প্যানিশ তথা বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা দল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আলভারেজ যখন ট্রায়াল দিয়েছিল, তখন তার বয়স ১১। সেই সময়ই আলভারেজের প্রতিভার ঝলক তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বহু ফুটবল বোদ্ধাকে। কিন্তু, সেসময় বয়স কম। স্পেনে বিদেশি নাবালকদের ক্লাবে নেওয়ার নিয়ম নেই। তাই আর মাদ্রিদের বিশ্বখ্যাত ক্লাবে তখন আলভারেজের জায়গা হয়নি। ফিরতে হয়েছিল নিজের দেশে। কিন্তু, হতাশ হয়নি ছেলেটি। তার ফুটবল শিক্ষা নিরন্তর চালিয়ে গিয়েছিল। যা তাকে পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আরও পটু করে তোলে।
আরও পড়ুন- বেহাল পরিস্থিতি সামলাতে আইএমএফের কাছে হাত পাতল বাংলাদেশ, কী ঘটল আচমকা?
সবচেয়ে কঠিন ফুটবল লিগ
আর্জেন্টিনার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ফুটবল লিগ, বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন ফুটবল লিগগুলোর অন্যতম। জয়ের জন্য এখানে ফুটবলাররা যে কী কী করতে পারেন, না-দেখলে বোঝা কঠিন। অনেক সময় তাঁদের দেখলে বোঝা কঠিন হয়ে যাবে, এটা ফুটবল মাঠ, যুদ্ধভূমি নাকি অন্যকিছু। মারামারি, গলার শিরা ফুলিয়ে ঝগড়া, ফিফার সুরক্ষাবিধি না-মেনে ট্যাকল- সব এখানকার ফুটবলারদের কাছে জলভাতের ব্যাপার। এই বন্য ফুটবলভূমি থেকে জুলিয়ান আলভারেজের মতো ফরোয়ার্ডদের রক্ষার প্রয়োজন আছে। সেই সাহায্য বাইরে থেকে না-পেলে, প্রতিভা আর কৌশলই হয়ে দাঁড়ায় এমন প্রতিভাধর ফুটবলারদের বাঁচার রাস্তা। আর, আলভারেজ তাতে সফল হয়েছেন।
Read full story in English