একটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছে। রকেটটি একটি নাসার একটি নতুন ডিভাইস বয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ডিভাইস উত্তর আমেরিকায় বায়ু দূষণ ট্র্যাক করবে। এই ডিভাইস বা যন্ত্রের নাম ট্রপোস্ফিয়ারিক এমিশন মনিটরিং অফ পলিউশন (টেম্পো)। যা মহাকাশ থেকেই আশপাশের স্তর পর্যন্ত বায়ু দূষণকারী এবং তাদের নির্গমনের উত্সগুলোকে আগের চেয়েও আরও ভালোভাবে নিরীক্ষণের সুযোগ বিজ্ঞানীদের দেবে।
আধিকারিক যা জানিয়েছেন
নাসার এই 'টেম্পো' উৎক্ষেপণ পরিকল্পনা এবং তাকে বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন কেভিন ডয়ার্টি। তাঁর মতে, এই যন্ত্রটি দিনের বেলা প্রতি ঘণ্টায় বৃহত্তর উত্তর আমেরিকাজুড়ে দূষণ এবং বায়ুর গুণমান পরিমাপ করবে। এর আওতায় থাকবে, 'পুয়ের্তো রিকো থেকে কানাডার টার বালি পর্যন্ত।' এই যন্ত্রের পাওয়া তথ্য ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ), ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এবং বায়ুমণ্ডলের দূষণ মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা অন্য সংস্থাগুলো ব্যবহার করবে।
কেন টেম্পো এত গুরুত্বপূর্ণ?
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'টেম্পো প্রকল্পের সাহায্যে দূষণ পরিমাপ করা যাবে। যার মাধ্যমে বিশ্বের সকলের জন্য জীবনকে উন্নত করা সম্ভব হবে।' তিনি বলেন, 'তাড়াহুড়োর মধ্যে যানচলাচল থেকে বনের আগুন, আগ্নেয়গিরি থেকে দূষণ পর্যন্ত- সবকিছুর প্রভাব এই যন্ত্রের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। নাসার এই তথ্য উত্তর আমেরিকাজুড়ে বায়ুর গুণমান উন্নত করতে এবং আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।' টেম্পো যন্ত্রটি অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এটা ওয়াশিং মেশিনের আকারের। মহাকাশে এটি কার্যত রসায়ন গবেষণাগার হিসেবে কাজ করবে। মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথে যোগাযোগ স্থাপনকারী উপগ্রহের মধ্যে এই যন্ত্র থাকবে।
আরও পড়ুন- সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স খারিজ করেছিল কেন্দ্র, পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট, কেন?
বিশেষত্ব
বর্তমানে দূষণ-পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে রয়েছে। যার মানে, তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে দিনে একবার মাত্র পৃথিবীর দূষণ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। টেম্পো কিন্তু একবারে ৪ বর্গমাইল (১০ বর্গকিলোমিটার) বা আশেপাশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণকে সর্বাধুনিক কায়দায় পরিমাপ করতে পারবে।