Advertisment

Explained: টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি, দাখিল রিপোর্ট

তৈরি হতে চলেছে বিশেষ আইন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
online gaming

অনলাইন গেমের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নবীন প্রজন্ম। বহু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সেসব কথা মাথায় রেখে এবার অনলাইন গেমে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। এজন্য আইন আনার প্রস্তুতি চলছে। সেই আইনের রূপরেখা তৈরির জন্য মন্ত্রক একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছে। এবার সেই টাস্ক ফোর্স অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৈরির প্রস্তাব দিল। যেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে, ক্ষতিকারক অনলাইন গেমগুলোকে কীভাবে ২০০২ সালে তৈরি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় আনা যেতে পারে।

Advertisment

কবে তৈরি হল টাস্ক ফোর্স?
চলতি বছরের মে মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক (MeitY) দ্বারা গঠিত টাস্ক ফোর্সে সরকারী থিংক ট্যাংক নীতি আয়োগের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, আইটি, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিবদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকে।

কেন কেন্দ্রীয় আইন দরকার?
অনলাইন গেমিং এখন দেশজুড়ে চলছে। তাই রাজ্যগুলো বলেছে যে তারা রাজ্যের মধ্যে নির্দিষ্ট অ্যাপ বা ওয়েবসাইটগুলোকে ব্লক করতে পারছে না। এক রাজ্যে নিষিদ্ধ গেমিং অন্য রাজ্যে অবাধে চলছে। তার ফলে অনলাইন গেমিংকে নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, বিদেশ থেকে চলা বেটিং সাইট ব্লক করার মত যথেষ্ট ক্ষমতা রাজ্যগুলোর নেই।

ভারতে অনলাইন গেমিং বাজার কতটা বড়?
ভারতীয় মোবাইল গেমিং শিল্পের আয় ২০২২ সালে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালে তা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই শিল্প ২০১৭-২০২০, এই তিন বছরে ৩৮% বেড়েছে। অবশ্য শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সব দেশেই অনলাইন গেমিংয়ের বাজার বাড়ছে। চিনে বেড়েছে ৮%। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবার বেড়েছে ১০%। ২০২৪ সালে অনলাইন গেমিং থেকে রাজস্ব আদায় হবে ১৫,৩০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয়, গেমিংয়ে ভারতে অর্থলগ্নি ২০২০ সালে ৪০% ও ২০২১ সালে ৫০% বেড়েছে।

আরও পড়ুন- সামরিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে মোদীর ভারত, স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক দুনিয়ার

টাস্ক ফোর্স কী সুপারিশ করেছে?
সেই কথা মাথায় রেখেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অনলাইন গেমিংয়ের জন্য একটি কেন্দ্রীয়স্তরের কার্যকরী আইন চালু হওয়া উচিত। যা ই-স্পোর্টস, অনলাইন ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্রতিযোগিতা এবং কার্ড গেম নিয়ন্ত্রণ করবে। যে ধরনের গেম নিয়ে বাজি খেলা হচ্ছে, সেগুলোকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, এতে হিংসা বাড়ছে, আসক্তি বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে বিভ্রান্তি।

কোন মন্ত্রক থাকবে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে?
টাস্ক ফোর্স পরামর্শ দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক (MeitY) অনলাইন গেমিং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নোডাল মন্ত্রক হিসেবে কাজ করতে পারে। ই-স্পোর্টস বিভাগ বাদে বাকি ক্রীড়া ক্ষেত্রে ক্রীড়া বিভাগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকতে পারে। MeitY দ্বারা তৈরি আইনে অনলাইন বেটিং, জুয়া নিষিদ্ধ করা উচিত। এমনটাই মনে করছে টাস্ক ফোর্স।

বিদেশি বেটিং অ্যাপস সম্পর্কে টাস্কফোর্স কী বলেছে?
টাস্ক ফোর্স মনে করছে বিদেশি বেটিং অ্যাপসগুলোকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আইনে নিষিদ্ধ করা কঠিন। তাই বিদেশি বেটিং অ্যাপগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর ওপরই জোর দিতে চায় টাস্ক ফোর্স। গত মাসে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রিপোর্টে জানিয়েছিল যে 1xBet এবং ফেয়ারপ্লের মতো বেটিং সাইটগুলো এশিয়া কাপ এবং ইউএস ওপেনের সময় স্ট্রিমিং পরিষেবা চালিয়েছে।

Read full story in English

Task Force I&B Ministry online game
Advertisment