প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (এমওডি) সোমবার ঘোষণা করেছে যে পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েনের জন্য পিনাকা রকেট সিস্টেমের ছয়টি রেজিমেন্ট সরবরাহের জন্য তিনটি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে। শিবের ধনুকের নামানুসারে দেশিয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই রকেট। ২০২৪ সালের মধ্যেই সবকটি রকেট ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে । মনে করা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম।
পিনাকা রকেট সিস্টেমের উৎস
যুদ্ধের ময়দানে, পিনাকার মতো লং রেঞ্জের আর্টিলারি সিস্টেমগুলি কাছাকাছি লড়াইয়ের আগে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যগুলিতে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যার মধ্যে ছোট ক্ষেত্রের আর্টিলারি, সাঁজোয়া উপাদান এবং পদাতিক বাহিনী।
পিনাক তৈরি করে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) ১৯৮০ এর দশকের শেষদিকে। রাশিয়ান প্রযুক্তিতে মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চিং সিস্টেমের বিকল্প হিসাবে এটিকে প্রস্তুত করা হয়। এটি 'গ্রাড' নামে পরিচিত, যা এখনও ব্যবহৃত হয়। ১৯৯০ এর শেষের দিকে পিনাকা মার্ক -১ এর সফল পরীক্ষার পরে, এটি ১৯৯৯ এর কার্গিল যুদ্ধের সময় প্রথম সফলভাবে ব্যবহার হয়েছিল। পরবর্তীকালে সিস্টেমের একাধিক রেজিমেন্টগুলি ২০০০ এর দশকে এসেছিল।
কীভাবে কাজ করে?
প্রাথমিকভাবে যে পিনাকা তৈরি হয়েছিল তা একটি মাল্টি ব্যারেল রকেট সিস্টেম। যা ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে একসঙ্গে ১২টি রকেট নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুঁড়তে পারে। একটি ব্যাটারি সিস্টেমের মাধ্যমে ছটি লঞ্চ যন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে। পরবর্তীতে পিনাকার মার্ক ওয়ান ভার্সন ৪০ কিলোমিটার অবধি নিক্ষিপ্ত হতে পারে এবং মার্ক টু পারে ৭৫ কিলোমিটার গন্তব্য পাড়ি দিতে। ২০১০ সালের শেষের দিকে সফলভাবে মার্ক টু নিক্ষেপ করেছে ডিআরডিও।
পিনাকার মার্ক টু-তে রয়েছে 'নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ার"। একাধিক মোডে রকেট সিস্টেমটিকে চালনা করা যায়।
মন্ত্রক এই পদক্ষেপকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র জন্য একটি অন্যতম কাজ বলে অভিহিত করেছে।“ এটি ভারত সরকার (ডিআরডিও এবং এমওডি) এর আওতায় বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প যা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে বিদেশি প্রভাব কাটিয়ে আত্মনির্ভর হতে সহায়তা করেছে।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন