ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে ব্যর্থতার জন্য সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং পাঁচটি রাজ্য - রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডকে নোটিশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই হলফনামা চেয়েছে। ১৭তম লোকসভা শেষ হতে চলল। আগামী বছর নির্বাচন। তারপরও কেন এখনও পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হল না?
দীর্ঘ সময় পরেও নেই ডেপুটি স্পিকার
১৭তম লোকসভা ২০১৯ সালের ১৯ জুন তৈরি হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলায় আদালতের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন না-করা সংবিধানের অন্তরাত্মার বিরোধী। শরিক আহমেদ জনস্বার্থ মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, চার বছর আগে থেকে এক বছর আগে পর্যন্ত দেশের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই সব রাজ্যগুলোয় সরকার চলছে, সবকিছু ঠিকঠাক আছে। শুধু ওই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকারের পদগুলো শূন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকারের ব্যাপারে সংবিধান কী বলছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৯৩তম বিধি বলছে, সংসদ যত শীঘ্র সম্ভব দু'টি পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করবে। তার একটি হল স্পিকার। অপরটি ডেপুটি স্পিকার। আর, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের আসন প্রায়ই শূন্য থাকলে, সংসদ ওই পদে বিকল্প কাউকে বেছে নেবে। আবার, সংবিধানের ১৭৮ অনুচ্ছেদে বিধানসভাগুলোর স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের ব্যাপারেও বিস্তারিত বলা আছে।
ডেপুটি স্পিকার থাকা কি বাধ্যতামূলক?
সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ এবং ১৭৮, উভয় জায়গাতেই 'শ্যাল' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। যা বুঝিয়ে দেয় যে সংবিধানের অধীনে স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন বাধ্যতামূলক। সংবিধানে কত তাড়াতাড়ি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হবে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা নেই। শুধু ব্যাপারটা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে বলেই বলা আছে।
আরও পড়ুন- দুয়ারে পঞ্চায়েত, মমতার বাজি ৩ হাজার কোটির ‘রাস্তাশ্রী’
সাধারণভাবে, লোকসভা এবং বিধানসভা- উভয় ক্ষেত্রেই নতুন হাউসের প্রথম অধিবেশনের সময় স্পিকার নির্বাচন করা হয়। সাধারণত, প্রথম দুই দিনে শপথগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার পর তৃতীয় দিনেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হয়। লোকসভা থেকে বিধানসভা, সর্বত্র।
Read full story in English