Advertisment

Arvind Kejriwal-Hemant Soren: একই যাত্রায় পৃথক ফল! কেজরিওয়াল জামিন পেলেও সোরেন কারাগারেই, পিছনে কোন রহস্য?

Interim bail: সোরেনকে আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই গ্রেফতারিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Arvind Kejriwal, Hemant Soren, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন,

Arvind Kejriwal-Hemant Soren: অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেন। (ছবি- টুইটার)

The SC refused to grant interim bail to Hemant Soren: দিল্লির কেজরিওয়াল জামিন পেলেও সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন না ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। বুধবার (২২ মে) বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ মামলার শুনানি করতে চাননি। তার ফলে, সোরেনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। সোরেনকে আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই গ্রেফতারিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা।

Advertisment

কেজরির জামিন

ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছেন। নির্বাচনে প্রচারের জন্য ১০ মে তাঁকে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের সাতটি আসনে শেষ দুই দফার নির্বাচন হবে ২৫ মে এবং ১ জুন। তারপরও কেন সোরেনের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত একটি আর্থিক তছরুপ মামলায় ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

হাইকোর্টে কেজরিওয়াল

দুই দিনের মধ্যে, কেজরিওয়াল সেই গ্রেফতারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান। স্বাভাবিক নিয়মে, কোনও জামিনের আবেদন ট্রায়াল কোর্টে জানানো হয়। তারপর সেই আবেদন যায় হাইকোর্টে এবং শেষে সুপ্রিম কোর্টে। তছবিল তছরুপ আইন (৪৫ ধারা) অনুযায়ী তখনই জামিন মিলতে পারে, যদি প্রমাণিত হয় যে, যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে কোনও মামলা ছিল না। তাঁর অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এরও 'গ্রেফতার করার প্রয়োজনীয়তা' ছিল না। আর, পিএমএলএর ধারা ১৯-এর অধীনে গ্রেফতার করার ক্ষমতা ইডি বৈধভাবে প্রয়োগ করেনি।

সুপ্রিম কোর্টে জামিন

৯ এপ্রিল, হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির নির্দেশ বহাল রাখে। তারপরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক মর্যাদা আদালতে হারায়নি। কারণ, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আর, তিনি একটি জাতীয় দলের নেতা।' এই মামলায় ইডি ১৭ মে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল।

হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই দিন, সোরেনের আইনজীবীরা গ্রেফতারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে। দুই মাস পরে, সোরেনের মামলা খারিজ করে দেয়। সোরেন ট্রায়াল কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেটাও ট্রায়াল কোর্ট খারিজ করেছে।

আরও পড়ুন- আমরা ৫… কোহলিরা ছিটকে যেতেই হাজির জাদেজাদের পুরোনো ভিডিও! ধোনির বন্ধুর খাপ খোলা অপমান প্রকাশ্যে

সুপ্রিম কোর্টে খারিজ

সুপ্রিম কোর্ট মনে করেছে, ট্রায়াল কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সোরেনের প্রথমে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা উচিত ছিল। শুধু তাই নয়, আদালত দেখেছে যে সোরেনের দল জেএমএম জাতীয় দল নয়। আর, সোরেন গ্রেফতার হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এমনকী, সোরেন তাঁর দলের সভাপতিও নন। আর, সেই সব কারণে আদালত সোরেনের জামিনের আবেদন শুনতে চায়নি।

Hemant Soren Interim Bail Supreme Court of India Bail Plea bail
Advertisment