পলাতক 'ধর্মগুরু' নিত্যানন্দের স্বঘোষিত দেশ, কৈলাশ সংযুক্ত রাষ্ট্র (ইউএসকে)-এর দুই প্রতিনিধি জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার (সিইএসসিআর) কমিটির দ্বারা পরিচালিত আলোচনায় অংশ নিয়েছিল।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের বক্তব্য
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এই ব্যাপারে জানিয়েছে যে, ওই প্রতিনিধিদের দ্বারা জমা দেওয়া যাবতীয় কিছু 'অপ্রাসঙ্গিক' ধরা হচ্ছে। আর, তা আলোচনার নির্যাসের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। পিটিআই সূত্রে খবর, মানবাধিকারের হাইকমিশনারের অফিস (ওএইচসিএইচআর) নিত্যানন্দের দুই প্রতিনিধির ওই আলোচনায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। তাদের 'প্রচারমূলক সামগ্রী বিতরণ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আর, তাদের স্পর্শকাতর বক্তৃতাকে গ্রাহ্য করা হচ্ছে না।
নিত্যানন্দের প্রতিনিধিরা আগে কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল?
গত সপ্তাহে, নিত্যানন্দের স্বঘোষিত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দু'জন 'অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার এবং টেকসই উন্নয়নের ব্যাপারে' আলোচনার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। তাদের একজন বিজয়প্রিয়া নিত্যানন্দ দাবি করেছিলেন যে নিত্যানন্দের স্বঘোষিত রাষ্ট্র 'ইউএসকে' আসলে 'প্রাচীন হিন্দু পদ্ধতির সাহায্যে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করছে। লক্ষ্য স্থায়ী উন্নয়ন।
বিজয়প্রিয়ার দাবি
বিজয়প্রিয়া আরও দাবি করেছেন যে ধর্ষণে অভিযুক্ত নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে আশ্রমে শিশুদের বেআইনিভাবে আটকে রাখার মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল। ভারতের হিন্দু বিরোধীরাই নিত্যানন্দকে নির্যাতনের পিছনে দায়ী। গত ২ মার্চ এনিয়ে টুইট করেন বিজয়প্রিয়া। সেখানে তিনি লেখেন, 'ভগবান পরমশিব নিত্যানন্দ তাঁর জন্মস্থানে কিছু হিন্দু বিরোধীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। তার পরও সংযুক্ত কৈলাশ রাষ্ট্র ভারতের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করে চলেছে। ভারতকে তার গুরুপীঠের সম্মান দিচ্ছে। ধন্যবাদ।'
আরও পড়ুন- পেগাসাস সম্পর্কে রাহুলের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া, কী নিয়ে এই বিতর্ক?
কিন্তু, নিত্যানন্দের লোকজন অংশ নিল কীভাবে?
রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জনসাধারণকেও অনুষ্ঠানে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখনই ওঁরা বলেছেন। আর, খুব বেশি কিছু বলেননি। একইসঙ্গে অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'যেহেতু তাঁদের বক্তব্যটি স্পর্শকাতর, তাই তা গ্রহণ বা নথিভুক্ত করা হয়নি।' রাষ্ট্রসংঘের মুখাপাত্রর আরও বক্তব্য, শুধু নিত্যানন্দ বলেই নন। যে কেউ রাষ্ট্রসংঘের কাছে এই জাতীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বা অন্য কোনওভাবে তথ্য জমা দিতে পারে। তবে, আগেই সেই সব তথ্যগুলো সত্যি না মিথ্যে, তা খতিয়ে দেখা হয়। তার পরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।