হাজার হাজার হলিউড ফিল্ম এবং টেলিভিশন লেখক ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। এই ধর্মঘট মঙ্গলবার (২ মে) থেকে শুরু হয়েছে। ধর্মঘটীদের অভিযোগ, তাঁদের স্ট্রিমিং যুগে ন্যায্য বেতন দেওয়া হয় না। সংবাদ সংস্থা এনবিসি জানিয়েছে, হলিউডের মার্কি স্টুডিওগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী একটি শীর্ষ গিল্ড এবং একটি কর্মী অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে আলোচনার পরেও সমস্যা মেটেনি। চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এই সমস্যা টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ব্যাহত করবে।
সোমবার এক বিবৃতি দিয়েছে রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা (ডব্লিউজিএ) সংস্থাটি। এই সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিত্রনাট্য লেখকদের এক বিরাট সংগঠন। এদের সংগঠনের সদস্যরা আমেরিকার পূর্ব থেকে পশ্চিম, সর্বত্র রয়েছে। সেই সংগঠনটি বলেছে, 'কোম্পানিগুলোর জন্য কর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের পেশাকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার বদলে সংস্থাগুলো অবমূল্যায়ন করছে। যা আসলে প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।' ডব্লিউজিএর অভিযোগ, এসবের জেরে ফিল্ম এবং টেলিভিশন লেখকরা 'অস্তিত্বগত সংকটের' মুখোমুখি হয়েছেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, অ্যালায়েন্স অফ মোশন পিকচারস অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারস (এএমপিটিপি) নামে একটি কর্মী সংগঠন সংস্থাগুলোকে আলাদা প্রস্তাব দিয়েছে। এই সংগঠনের সদস্যরা স্টুডিও, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত। সেই হিসেবে সংগঠনটি সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি করেছে যে এটি, 'লেখকদের জন্য ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে উদার বৃদ্ধির পাশাপাশি স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সর্বস্তরের উন্নতির প্রস্তাব দিয়েছে।'
আরও পড়ুন- ‘দ্য কেরল স্টোরি’র কড়া নিন্দা বিজয়নের, সত্যিটা কী?
গত ১৫ বছরের মধ্যে এটাই হলিউডের প্রথম ধর্মঘট। এর আগে ২০০৭ সালের ধর্মঘটে লেখকদের বেতন এবং অন্যান্য সমস্যা নিয়ে কোম্পানিগুলোর সংগঠনের (এএমপিটিপি) সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না-হওয়ায় এমনই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। আর, সেই অচলাবস্থা ১০০ দিন স্থায়ী হয়েছিল। বিভিন্ন মহলের অবশ্য অভিযোগ, স্ট্রিমিং যুগের আবির্ভাব টেলিভিশনের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়েছে। আবার, লেখক সংগঠনের অভিযোগ, এটি বিভিন্নভাবে তাঁদের আয়ের ক্ষতি করেছে।