Advertisment

Explained: শান্তির আবেদন জানিয়েও কার্যত বৃহত্তর মিজোরামের দাবি, কী বলেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা?

মণিপুরে দাঙ্গার অন্যতম পক্ষ কুকি-জোমি উপজাতি, জো জনজাতির অন্তর্ভুক্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
People of Manipur & Mizoram

গত ৪ মে মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়।

মঙ্গলবার একটি টুইটের মাধ্যমে মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তাঁর আবেগপূর্ণ আবেদনের দিনেই মিজোরামের প্রধান বিরোধী দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম) জো জনগণের পুনর্মিলনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিবেশী রাজ্যে প্রভাবশালী মেইতিস এবং কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিহিংসা চলাকালীন এই আবেদন অতি তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisment

'জো জাতি'
মণিপুরের কুকি-জোমি জনগণ— এই জনগোষ্ঠীর লোকজন বেশি বাস করেন মণিপুরের চুরাচাঁদপুর, ফেরজাওল এবং কাংপোকপি জেলায়। চান্দেল এবং টেংনৌপালে বেশ কিছু সংখ্যক কুকি-জোমি জনগণ বাস করেন। তাঁরা জো জাতি বা উপজাতিদের বৃহত্তর অংশের সদস্য। এই উপজাতিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ হল মিজোরামের লুশেই। সেই জো জাতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা পোস্ট করেছেন, 'মে মাসের গোড়া থেকেই মণিপুর এক নৃশংস, অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। ঠিক এই মুহুর্তে, ২০২৩ সালের ৪ জুলাই বেলা ৩টে ৩০-এ কিছুই পরিবর্তিত হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। এই সমস্যা কখন থামবে? আমরা গুনে চলেছি। আজ ৬২তম দিন।'

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন
জোরামথাঙ্গা তাঁর পোস্টে মণিপুরের কুকি-জোমি জনগোষ্ঠীকে, 'আমরা মণিপুরী জো ভাইয়েরা' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'গির্জা পোড়ানো, নৃশংস হত্যা এবং কোনও ধরনেরই হিংসার ছবি বা ভিডিও আর দেখতে চাই না।' মিজোরাম বর্তমানে মণিপুর থেকে পালিয়ে আসা ১২,০০০ বাস্তুচ্যুত মানুষের বাসস্থান। এর আগে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাক্ষাত্কারে জেডপিএম সভাপতি লালদুহোমা বলেছিলেন, 'আমার দলের দৃষ্টিভঙ্গি হল, এমন একদিন আসবে, যখন সমস্ত জো জনগণকে একটি প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে রাখা সম্ভব হবে। আর, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।'

আরও পড়ুন- এসসিওতে ইরান, এটা কি রাশিয়া প্রভাবিত গোষ্ঠী?

বৃহত্তর মিজোরামই লক্ষ্য?
লালদুহোমা বলেছেন, 'ভারতীয় সংবিধানের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে এই ব্যবস্থা করা সম্ভব। তার সমাধানও ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। জো উপজাতির লোকজন মণিপুরে বসবাসকারী আমাদের ভাই-বোন। তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমরা তাঁদের স্বাগত জানাই।'

Violence Mizoram Manipur
Advertisment