/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/dollar.jpg)
Dollar: মার্কিন ডলার।
Highest-Valued Currencies: বিশ্বের ১৯৫টি দেশে বর্তমানে ১৮০টি আলাদা মুদ্রা ব্যবহৃত হয়। তবে, জনপ্রিয়তা বা প্রচলন সর্বদা মুদ্রার প্রকৃত মূল্যের প্রতিফলন নয়। প্রকৃতপক্ষে, একটি মুদ্রার প্রকৃত শক্তি নির্ভর করে তার ক্রয়ক্ষমতা এবং বিনিময় হার-এর ওপর।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০২৫ সালে বিশ্বের সেরা ১০ সর্বোচ্চ মূল্যের মুদ্রার তালিকা, তাদের রুপিতে মূল্য এবং মুদ্রগুলোর এত দামের কারণ:-
র্যাঙ্ক | মুদ্রা | সিম্বল | ভারতীয় টাকায় মূল্য | মার্কিন ডলারে মূল্য |
---|---|---|---|---|
১ | কুয়েতি দিনার | KWD | ২৭৮.৪১ | ৩.২৬ |
২ | বাহরাইনি দিনার | BHD | ২২৬.৪৩ | ২.৬৫ |
৩ | ওমানি রিয়াল | OMR | ২২১.৬৫ | ২.৬০ |
৪ | জর্ডানিয়ান দিনার | JOD | ১২০.৩৩ | ১.৪১ |
৫ | জিব্রালটার পাউন্ড | GIP | ১১৩.৫৩ | ১.৩৩ |
৬ | ব্রিটিশ পাউন্ড | GBP | ১১৩.৫৩ | ১.৩৩ |
৭ | কেইম্যান আইল্যান্ডস ডলার | KYD | ১০২.৪৯ | ১.২০ |
৮ | সুইস ফ্রাঁক | CHF | ১০৩.৩৪ | ১.২১ |
৯ | ইউরো | EUR | ৯৭.০১ | ১.১৪ |
১০ | মার্কিন ডলার | USD | ৮৫.৩৪ | ১.০০ |
কেন এই মুদ্রাগুলি এত মূল্যবান?
কুয়েতি দিনার (KWD): বিশাল তেলের ভাণ্ডার, করমুক্ত অর্থনীতি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা কুয়েতি দিনারকে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যের মুদ্রা করেছে।
বাহরাইনি দিনার (BHD): তেল-নির্ভর অর্থনীতি এবং ডলারের সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে পেগ হওয়া মূলত এর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।
ওমানি রিয়াল (OMR): তেলসম্পদ, শক্তিশালী ডলারের পেগ এবং ঐতিহাসিকভাবে রুপির সঙ্গে সম্পর্ক এর শক্তির ভিত্তি।
জর্ডানিয়ান দিনার (JOD): স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক কাঠামো।
জিব্রালটার পাউন্ড (GIP) ও ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): শক্তিশালী অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক ক্ষেত্রের নেতৃত্ব।
কেইম্যান আইল্যান্ডস ডলার (KYD): ট্যাক্স হ্যাভেন হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি, যার ফলে অর্থনৈতিক শক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এই মুদ্রা।
সুইস ফ্রাঁক (CHF): স্থিতিশীল আর্থিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা এই মুদ্রার গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
ইউরো (EUR): ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান মুদ্রা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক ভাণ্ডারে থাকা মুদ্রা।
মার্কিন ডলার (USD): বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের মূল ভিত্তি হলেও, স্থানীয় ক্রয়ক্ষমতার বিচারে দশম স্থানে রয়েছে মার্কিন ডলার।
২০২৫ সালের এই তালিকা প্রমাণ করে যে শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা বা চালু থাকাই নয়, বরং একটি দেশের আর্থিক নীতিমালা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ভূমিকা এবং স্থিতিশীলতার ওপরও নির্ভর করে একটি মুদ্রার প্রকৃত মূল্য।