২০১৯ সালের ভারতের ধনীদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে গত বুধবার। হুরুন রিপোর্ট ইন্ডিয়া এবং আইআইএফএল প্রকাশিত এই তালিকায় দেথা যাচ্ছে ভারতের ধনীতম ব্যক্তিদের গত বছরে গড়ে ১১ শতাংশ সম্পদক্ষয় হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর নতুন যে সম্পদ গৃহীত হয়েছে, তা বাদ রাখলে, ২০১৯ সালের ধনীতালিকায় দেখা যাচ্ছে ৩,৭২,৮০০ কোটি টাকার সম্পদ কমেছে। এ বছরের ৩৪৪ বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ কমেছে এবং আরও ১১২ জন ন্যূনতম ১০০০ কোটি টাকা সম্পদের মাপকাঠি বজায় রাখতে অসমর্থ হয়েছেন।
হুরুন ইন্ডিয়ার ধনী তালিকায় কারা অন্তর্ভুক্ত?
এ বছর এই তালিকায় ৪১টি শিল্পের ৯৫৩ জন ব্যক্তির তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। এই অন্তর্ভুক্তির জন্য ন্যূনতম সম্পদের মাপকাঠি ১০০০ কোটি টাকা। এ বছর তালিকা বৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ, গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও ১২২ জন অতিরিক্ত ব্যক্তি এই সম্পদ আহরণে সমর্থ হয়েছেন। ২০১৬ সালের নিরিখ ধরলে এই সংখ্যা বেড়েছে ১৮১ শতাংশ।
আরও পড়ুন, জম্মু কাশ্মীরে পাকিস্তানি দখল এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদের ৩৫ নং ধারা
তাহলে সবচেয়ে ধনী ভারতীয় কে?
৬২ বছর বয়সী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩,৮০,৭০০ কোটি টাকা। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি ভারত সরকারকে যে পরিমাণ ডিভিডেন্ড হস্তান্তর করেছে, মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি তার চেয়ে ২.২ গুণ বেশি। আরেক দিক থেকে এই হিসেব করা যায়। সম্প্রতি কর্পোরেট আয়করে অতিরিক্ত ছাড় দিয়ে সরকার যে পরিমাণ অর্থ লোকসান করছে, তার তুলনায় মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ২.৬ গুণ বেশি।
দেশের ১০ ধনীতম ব্যক্তির তালিকা দেওয়া রইল
তবে আম্বানির সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ। গত বছরের শতকরা হার দেখলে, সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন গৌতম আদানি ও তাঁর পরিবার। তাঁদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। দেশের ১০ ধনীর মধ্যে তাঁর বৃদ্ধির হারই সবচেয়ে বেশি। গত বছর অন্য যাঁরা বড়সড় উন্নতি ঘটিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উইপ্রোর আজিম প্রেমজি, কোটাক মাহিন্দ্র ব্যাঙ্কের উদয় কোটাক এবং সিরাম ইনস্টিট্যুট অফ ইন্ডিয়ার সাইরাস পুনাওয়ালা।
সান ফার্মাসিউটিক্যালসের দিলীপ সাংভির সম্পদের পরিমাণ হ্রাস হয়েছে ২০ শতাংশ। লক্ষ্মীনারায়ণ মিত্তলের সম্পদ কমেছে ১০ শতাংশ।
Read the Full Story in English