Advertisment

কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হয়ে গেল বিমান ওঠা-নামা: উড়ানযাত্রায় কী করবেন, কী করবেন না?

প্রথম প্রশ্ন যেটা এই সময়ে আসবেই, তা হল, আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার সহযাত্রী সংক্রমিত নন? সরল উত্তর, না আপনি জানেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Air Travel Dos and Donts

কনটেনমেন্ট জোন থেকে আসা কোনও ব্যক্তি বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না

২৫ মে, সোমবার থেকে সারা দেশে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমফানের জেরে এ রাজ্যে তা স্থগিত ছিল। বৃহস্পতিবার, ২৮ মে থেকে কলকাতা বিমানবন্দরেও শুরু হয়ে গেল প্লেন ওঠা-নামা।

Advertisment

করোনাভাইরাস অতিমারীর জেরে জনগণের জন্য বিমান ভ্রমণ এখন শর্তাধীন। ব্যাগেজ থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে পৌঁছবার সময়, সিকিউরিটি চেকের নিয়ম, এয়ারপোর্টে যাওয়া এবং চেক ইন ফেসিলিটিতে প্রচুর নিয়মকানুন বদলে গিয়েছে।

বিমান ভ্রমণের জন্য কী করতে হবে, কোন ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে, এবং বিমানে চড়ার জন্য কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে তা এখানে দেওয়া হল।

প্রথম প্রশ্ন যেটা এই সময়ে আসবেই, তা হল, আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার সহযাত্রী সংক্রমিত নন? সরল উত্তর, না আপনি জানেন না।

তবে সরকার প্রতিটি যাত্রীর থার্মাল স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করেছে, এবং প্রত্যেকককে স্মার্টফোনে আরোগ্যসেতু স্মার্টফোন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে, যা থেকে কর্তৃপক্ষ জানতে পারবেন যে আপনি অতি সংক্রমিত এলাকা থেকে আসছেন কি না। যদি আপনার আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকে, সেক্ষেত্রে বিমানবন্দর কর্মীরা সে ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করবেন।

আরও পড়ুন, ১ জুন থেকে ১০০ জোড়া ট্রেন, কী হবে মেট্রোর?

কনটেনমেন্ট জোন থেকে আসা কোনও ব্যক্তি বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে তাঁদের লিখিতভাবে জানাতে হবে, একই সঙ্গে জানাতে হবে যে তাঁদের কোনও কোভিড-১৯ উপসর্গ নেই। যদি একই পিএনআর-এ একাধিক যাত্রী থাকেন, তবে এ সম্পর্কে একটি বয়ান দিলেই চলবে।

কত ব্যাগেজ নিতে পারবেন?

একটি চেকইন ব্যাগেজ এবং একটি কেবিন ব্যাগেজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যতই কারণ থাকুক না কোন, একটির বেশি চেক-ইন ব্যাগেজ নেবেন না। যদি নেন, তাহলে আপনার যাত্রা সম্ভাবনা পুরোটাই নির্ভর করছে বিমান সংস্থার প্রতিনিধিদের উপর।

ল্যাপটপ ব্যাগের কী হবে? সেগুলি কি কেবিন ব্যাগেজ হিসেবে গণ্য? 

কেবিন ব্যাগেজের সঙ্গে একটি ল্যাপটপ ব্যাগ বা একটি লেডিজ হ্যান্ডব্যাগ বহন করা যাবে।

বিমানে খাবার পাওয়া যাবে না, তাহলে খিদে পেলে কী হবে?

যাত্রীরা শুকনো খাবার সঙ্গে নিতে পারেন। তবে বিমানের মধ্যে না-খাওয়াই ভাল। খেতে গেলে, সে চিকিৎসার জন্যই হোক বা অন্য যে কোনও কারণে, আপনাকে মাস্ক খুলতে হবে, যার ফলে আপনি নিজের ও অন্যের সংক্রমণজনিত বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারেন।

শুধু ওয়েব চেকইন করা যাবে, তাক মানে কাউন্টারে যাওয়ার ব্যাপার নেই। তাহলে ব্যাগেজে ট্যাগ সাঁটবে কে?

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুসারে বিমানবন্দরে ন্যূনতম মানব সংস্পর্শের কথা বলা হয়েছে। যাত্রীদের ওয়েব চেক ইনের সময়ে ব্যাগেজ ট্যাগের প্রিন্টআউট নিতে হবে এবং তা ব্যাগেজের গায়ে সাঁটতে হবে। যদি তাঁদের প্রিন্টারের সুবিধা না থাকে, তাহলে নাম ও টিকিটের পিএনআর নম্বর সাদা কাগজে ব্যাগেজের উপর সেঁটে নিলেই চলবে।

আরও পড়ুন, লকডাউনে দেশের কৃষকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে

যেসব বয়্স্ক মানুষের হাঁটার অসুবিধে রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কী ধরনের বদল আনা হয়েছে?

প্রথমত বয়স্কদের উড়ানে না চড়াই ভাল। কারণ তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

তবে যদি বিমান ভ্রমণের খুব প্রয়োজন হয়, তাহলে হুইল চেয়ার ও কিছু বিমানবন্দরে গলফ কার্টের সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে তাঁরা প্লেনে চড়তে পারবেন।

বিমানবন্দরগুলিকে বলা হয়েছে হুইল চেয়ার ও গলফ কার্ট সর্বদা স্যানিটাইজ করে রাখতে।

ব্যাগেজের জন্য ট্রলি না ব্যবহার না করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে, তবে খুব প্রয়োজন হলে সে ব্যবস্থাও রয়েছে।

যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন বা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে তাঁদের সহায়তা কেন্দ্রও থাকছে বিমানবন্দরে।

যদি কোনও যাত্রীর পরের দিনের কানেকটিং ফ্লাইট থাকে, তাহলে তিনি কী করবেন, কোথায় থাকবেন?

আরও পড়ুন, বিমান চলাচল এগিয়ে আনার ব্যাপারে তিন দিনে কী করে বদলে গেল সরকারি সিদ্ধান্ত?

সমস্ত শহরের সব হোটেল বন্ধ। তবে যাত্রীরা ট্রানজিট এরিয়ায় থাকতে পারবেন। কার্যত কেউ ট্রানজিট এরিয়ার বাইরে বেরোতে পারবেন না।

এয়ারপোর্টেই রিফ্রেশমেন্ট কিয়স্ক তাকবে, যার সুবিধা যাত্রীরা নিতে পারবেন।

 আর কোনও করণীয় বা অকর্তব্য আছে কি?

বিমানে চড়া ও বিমান থেকে নামার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে ঘটবে। ফলে দয়া করে বোর্ডিং গেট খুললেই সেখানে ভিড় করবেন না।

অনেক যাত্রীরই অভ্যাস রয়েছে, বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে সিট থেক লাফিয়ে উঠে মাথার উপরের বাক্স খুলে কেবিন ব্যাগ বের করে আইলের পাশে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে প়ড়ার। দয়া করে এমনটা করবেন না।

বিমানকর্মীরা সিট নম্বর ঘোষণা করবেন, এবং যাঁদের সিট নম্বর ঘোষণা করা হবে, কেবল তাঁরাই বিমান থেকে নামবেন।

আপনি যদি ডিসপোজেবল মাস্ক ব্যবহার করেন, এবং তা নষ্ট করতে চান, তাহলে তা করতে পারেন, কারণ আপনাকে বিমানবন্দরে নতুন মাস্ক ও শিল্ড দেওয়া হবে। মাস্ক ফেলে দিতে চাইলে নির্দিষ্ট হলুদ রঙের বিনেই ফেলবেন, সব বিমানবন্দরে ওই বিনের ব্যবস্থা রয়েছে।

airlines COVID-19
Advertisment