Advertisment

Election Commission rules: ভোটের সময় নগদ নিয়ে বাইরে ঘুরছেন? সাবধান! জানুন কমিশনের এই নিয়মাবলী

Lok Sabha Election 2024: গোটা ভারতজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে বিগত ১৬ মার্চ থেকে।

IE Bangla Web Desk এবং Rajit Das
New Update
travelling with cash during polls 2024 here are the election commission rules, ভোটের সময় নগদ নিয়ে বাইরে ঘুরছেন? সাবধান! জানুন কমিশনের এই নিয়মাবলী

MCC: আদর্শ আচরণবিধি কার্যক, গাড়ি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মী।

Travelling With Cash During Polls 2024 Here Are Election Commission Rules: ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা ভারতজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। সেই থেকেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সজাগ। নগদ, মদ, গহনা ছাড়াও ভোটারদের প্রভাবিত করতে এমন সব পণ্যে নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

Advertisment

চলতি সপ্তাহের শুরুতে, তামিলনাড়ু পুলিশ এক পর্যটক দম্পতির কাছ থেকে ৬৯,৪০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে সেই বাজেয়াপ্ত নগদ ওই দম্পতিকে ফেরৎ দিয়ে দেওয়া হয়। যা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের কঠোর নিয়ম কার্যকরের প্রমাণ।

অর্থ শক্তি রোধে পদক্ষেপ

ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে- যেমন নগদ, মদ, গহনা, মাদক এবং উপহারের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের উপর নজরদারির জন্য নির্বাচন কমিশন প্রতি ভোটের আগেই পুলিশ, রেল, বিমানবন্দর, আয়কর বিভাগ এবং অন্যান্য প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ জারি করে।

কমিশন নগদ অর্থের রমরমা রুখতে স্ট্যাটিক সার্ভিল্যান্স টিম এবং ফ্লাইং স্কোয়াডের পাশাপাশি প্রতিটি জেলার জন্য ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। ফ্লাইং স্কোয়াডের প্রধান হিসেবে একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার, একজন ভিডিওগ্রাফার এবং তার সঙ্গে তিন বা চারজন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী থাকেন। কমিশনের মতে, নজরদারি সব দলকেই গাড়ি, মোবাইল ফোন, ভিডিও ক্যামেরা দেওয়া থাকে। নগদ টাকা বা পণ্য বাজেয়াপ্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে।

এইসব নজরদারি দল বিভিন্ন রাস্তায় চেকপোস্ট তৈরি করে এবং সম্পূর্ণ চেকিং প্রক্রিয়াটির ভিডিও করে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এইসব নজরদারি দল তাদের অবস্থান ঘন ঘন পরিবর্তন করে থাকে। ভোট ঘোষণার তারিখ থেকে চেকপোস্ট স্থাপন করার কথা থাকলেও ভোটগ্রহণের শেষ ৭২ ঘণ্টা আগেই নজরদারি দলটি তাদের কার্যকলাপ বেশি করে প্রয়োগ করে থাকে।

আরও পড়ুন- Archaeological Survey of India: চুরি গেছে মিনার, সমাধিক্ষেত্র! বাধ্য হয়ে তালিকা বদলাচ্ছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ

নগদ অর্থ এবং অন্যান্য পণ্য বহনের নিয়ম

কমিশনের প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য হল প্রার্থীদের প্রচার ব্যয়ের উপর নজর রাখা, যা বড় রাজ্যে প্রতি নির্বাচনী এলাকায় ৯৫ লক্ষ টাকা এবং ছোট রাজ্যগুলিতে প্রতি নির্বাচনী কেন্দ্র পিছু ৭৫ লক্ষ টাকা। তবে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে নাগরিকদের উপরে।

উদাহরণস্বরূপ কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, বিমানবন্দরে যদি কেউ ১০ লাখ টাকার বেশি নগদ বা ১ কেজির বেশি বুলিয়ন বহন করে তবে সিআইএসএফ বা পুলিশকর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে আয়কর বিভাগে রিপোর্ট করবে। আয়কর বিভাগকে তখন আয়কর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই করতে হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারে। এর মানে হল যে যাচাইকরণ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নগদ বা অন্য়ান্য পন্য (কমিশনের তালিকাভূক্ত) বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে, যতক্ষণ না প্রমাণ হচ্ছে যে সেগুলির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর সম্পর্ক নেই।

নজরদারি দল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চেক-পোস্টগুলিতে, ইসি'র নির্দেশ যে- যদি একটি গাড়িতে ১০ লাখ টাকার বেশি নগদ পাওয়া যায় এবং সেই অর্থের যদি কোন প্রার্থী, এজেন্ট বা দলের সঙ্গে যোগসূত্র না থাকে তাহলে সেই নগদ বাজেয়াপ্ত করা হবে না। আর কোনও যোগসূত্র মিললে নজরদারি দল আয়কর আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য পাঠাবে।

আরও পড়ুন- Bhang-India: সমুদ্রমন্থনের সঙ্গে গাঁজার যোগাযোগ, শিব কি এমনি খেতেন?

যদি একজন প্রার্থী বা তাঁর এজেন্ট অথবা দলীয় কর্মী বহনকারী একটি গাড়িতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ বা মাদক, মদ, অস্ত্র বা ১০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের উপহার সামগ্রী পাওয়া যায়, তাহলে নগদ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে। চেকিংয়ের সময়, কোনও কিছু সন্দেহজনক মনে হলে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) অধীনে সব বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করা হবে।

যখন রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে মদ বহন করার কথা আসে, তখন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আবগারি আইন প্রযোজ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু রাজ্য দু'টি সিল করা মদের বোতল বহন করার অনুমতি দেয়।

বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর কী হয়?

যদি কোনও নগদ বা অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়, কর্তৃপক্ষ সবদিক যাচাই করে অপরাধ যোগ বা সন্দেহভাজন কিছু না পেলে তা ফেরৎ দিয়ে দেয়।

কমিশনের নির্দেশ, বাজেয়াপ্ত করার পরে, সেইসব অর্থ আদালতের নির্দেশ অনুসারে জমা করা হবে এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করার একটি প্রতিলিপি ১০ লাখ টাকার বেশি আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।

ব্যয় দেখভালের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসের নোডাল অফিসার এবং জেলা ট্রেজারি অফিসারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি, বাজেয়াপ্তের প্রতিটি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত পরীক্ষা করবে, যেখানে কোনও এফআইআর/অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, বা যেখানে বাজেয়াপ্ত নগদ বা পণ্য কোনও প্রার্থীর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, রাজনৈতিক দল বা নির্বাচনী প্রচারণা। তদুপরি, কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত এসওপি অনুসারে যে কোনও নগদ বাজেয়াপ্ত করা অর্থ ফেরৎ দেওয়ার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হবে।

election commission 2024 General Election loksabha election 2024
Advertisment