নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেস সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে যথাক্রমে নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), মেঘালয়ে ভয়েস অফ দ্য পিপল পার্টি এবং ত্রিপুরায় তিপ্রা মোথাকে 'স্বীকৃত রাজ্য রাজনৈতিক দল'-এর মর্যাদা দিয়েছে কমিশন। বর্তমানে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআই(এম), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এবং আপের কাছে জাতীয় দলের স্বীকৃতি থাকল।
জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে কী প্রয়োজন?
দলটিকে অন্তত তিনটি ভিন্ন রাজ্য থেকে লোকসভায় ২% আসন জিততে হবে। অথবা, দলটিকে লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচনে যে কোনও চার বা ততোধিক রাজ্যে ৬% ভোট পেতে হবে। পাশাপাশি, চারটি লোকসভা আসনে জয়ী হতে হবে। অথবা, দলটিকে চারটি রাজ্যে একটি রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে।
রাজ্যদলের স্বীকৃতির জন্য কী প্রয়োজন?
দলটিকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। শে, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি ২৫ জন সাংসদের মধ্যে অন্তত ১ জন সাংসদ ওই দলের হতে হবে। অথবা, এই সংখ্যার ভগ্নাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে হতে হবে। অন্তত ১ জন বিধায়ক প্রতি ৩০ জন সাংসদের মধ্যে ওই দলের হতে হবে অথবা এই সংখ্যার ভগ্নাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে হতে হবে।
আরও পড়ুন- আর জাতীয় নয় তৃণমূল, মমতা-শরদ-সিপিআই-কে টেক্কা কেজরিওয়ালের
আরও পড়ুন- ‘এক্সপ্রেস থেকে লোকাল’ তৃণমূল, এক সুযোগ পেতেই এক রা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের
অথবা, রাজ্যে হওয়া শেষ লোকসভা বা বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনে কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমস্ত প্রার্থী মিলিয়ে মোট প্রদত্ত ভোটের ছয় শতাংশ পেতেই হবে। যদি কোনও সাংসদ বা বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হন, তাহলে এই সব শর্তের আওতায় তিনি থাকবেন না। অথবা, তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সুবিধা দল পাবে না।
আর, কোনও রাজনৈতিক দল যদি জাতীয় বা রাজ্য দল হিসেবে মর্যাদা হারিয়ে ফেলে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তার বরাদ্দ প্রতীক বা চিহ্ন কেড়ে নেওয়া হয় না। সেই দল পুনরায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য হাতে ছয় বছর সময় পায়।