Advertisment

Lok Sabha election: ইন্দিরার বিশ্বাসঘাতকতা! সরকার ভাঙাগড়ার খেলায় কতটা পটু ছিলেন দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী?

Indira and Lok Sabha election: প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সরকারে অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানিরাও ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Did Indira Gandhi Donate Gold For India's Cause?

Indira Gandhi-Loksabha Elecrtion: নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ইন্দিরা। (ফাইল ছবি)

Triumph and tragedy of Indira: জনতা পার্টি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে শাসন করার পর, ইন্দিরা গান্ধী ফের বিজয়ী হয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফেরেন। তবে, এটাই ছিল তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শেষ নির্বাচন। এর আগে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে হারিয়ে, 'জরুরি অবস্থা'র জারির ২১ মাস পর কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল জনতা পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোরারজি দেশাই।

Advertisment

মোরারজি মন্ত্রিসভার পূর্ণমন্ত্রীরা

তাঁর মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন- চরণ সিং (স্বরাষ্ট্র), জগজীবন রাম (প্রতিরক্ষা), অটলবিহারী বাজপেয়ী (বিদেশ), মধু দণ্ডবতে (রেল), এল কে আদবানি (তথ্য ও সম্প্রচার), জর্জ ফার্নান্ডেজ (শিল্প), বিজু পট্টনায়েক (ইস্পাত), শান্তি ভূষণ (আইন), মোহন ধারিয়া (বাণিজ্য) ও রাজ নারায়ণ (স্বাস্থ্য)। তবে জনতা পার্টি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি।

মোরারজির ১৬ মাস

১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল, শপথ গ্রহণের প্রায় একমাস পর মোরারজি দেশাই কার্যত ইন্দিরা গান্ধীর কায়দাতেই কংগ্রেসশাসিত নয়টি রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করেছিলেন। ১৯৭৮ সালের নভেম্বরে, উপনির্বাচনে জিতে ইন্দিরা গান্ধী সংসদে ফেরেন। কিন্তু, ডিসেম্বরেই ইন্দিরা গান্ধীকে একসপ্তাহের জন্য গ্রেফতার করা হয়। আর, সংসদ অবমাননার অভিযোগে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এনিয়ে কংগ্রেস দ্রুত জনগণের মধ্যে সহানুভূতির ঢেউ তৈরি করে।

জনতা দলে দ্বন্দ্ব ও মোরারজির পদত্যাগ

তার পাশাপাশি, জনতা দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রবল হয়ে ওঠে। চরণ সিং সংসদ থেকে দলবল নিয়ে ওয়াকআউট করেন। লোকসভায় সরকারের শক্তি ২৯৮ থেকে ২৪৬-এ নেমে আসে। ১৯৭৯ সালের ১০ জুলাই, লোকসভার বিরোধী দলনেতা যশবন্তরাও বলবন্তরাও চ্যাবন (ওয়াইবি চ্যাবন) সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালের ১৫ জুলাই, মোরারজি দেশাইকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং

রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি এই সময় বিরোধী দলনেতা চ্যাবনকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান। কিন্তু, তিনি সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। তার জেরে, সদ্যগঠিত জনতা পার্টি (ধর্মনিরপেক্ষ) দলের সদস্যদের নিয়ে চরণ সিং, ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য কংগ্রেসের দুটি উপদলের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এই দুটি উপদলের একটি হল- দেবরাজ উরসের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (ইউ)। যা সরকারে যোগ দিয়েছিল। অন্য দলটি হল, ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (আই)। যারা বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করেছিল।

কংগ্রেস ভেঙেছিল

কংগ্রেস ভেঙেই গড়ে উঠেছিল কংগ্রেস (ইউ)। ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর আচরণে বিরক্ত হয়ে ১৯৭৯ সালের জুলাইয়ে, কংগ্রেস নেতাদের একাংশ নিজেদের ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এই নতুন গোষ্ঠী। নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি কে ব্রহ্মানন্দ রেড্ডি ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী দেবরাজ উরস। শরদ পাওয়ার, একে অ্যান্টনি, সি সুব্রহ্মণ্যম, করণ সিংয়ের মত কংগ্রেস নেতারা ওই দলে যোগ দিয়েছিলেন। করণ সিং, শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

আরও পড়ুন- বিরাট বিপদের মুখে লাক্ষাদ্বীপ! জলাঞ্জলি যেতে পারে মোদী সরকারের যাবতীয় প্রত্যাশা

ইন্দিরার বিশ্বাসঘাতকতা

প্রধানমন্ত্রী চরণ সিংকে ১৯৭৯ সালের ২০ আগস্ট, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, ভোটের সকালে কংগ্রেস (আই) সরকার থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে। দেশের সবচেয়ে নামী কৃষক নেতা তথা জাঠ নেতা চরণ সিং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একমাসও টিকতে পারেননি। রাষ্ট্রপতিকে তিনি সরকার ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন। অবশেষে ১৯৭৯ সালের ২২ আগস্ট, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী চরণ সিংয়ের পরামর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি লোকসভা ভেঙে দেন।

loksabha election 2024
Advertisment