প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফেরাল টুইটার। সংস্থার নতুন মালিক ইলন মাস্ক এনিয়ে একটা ভোটাভুটি করেছিলেন। সেই ভোটাভুটিতে ওই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বেশিরভাগ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের পক্ষেই মত দিয়েছেন। একবছর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছিল টুইটার। মাস্ক অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন যে এই ভোটাভুটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। শুধু তাই নয়।
মাস্কের আগের কথা
মাস্ক এর আগে জানিয়েছিলেন, কোনও বড় বিষয় বা অ্যাকাউন্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত বিষয়বস্তু আধুনিকীকরণ পরিষদের মতামত ছাড়া নেওয়া হবে না। কিন্তু, ট্রাম্পের ব্যাপারে নিজের সেই ঘোষণাই মানলেন না টুইটারের সর্বময় কর্তা। শুধু তাই নয়, এই পূর্বঘোষিত আধুনিকীকরণ পরিষদ ঠিক কবে গঠন করা হবে, সেই নিয়েও এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন টুইটারের শীর্ষ আধিকারিক। অক্টোবরেই টুইটারের মালিকানা নিয়েছেন মাস্ক। তারপরই তিনি ব়্যাপার কেনি ওয়েস্টের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন। ইহুদি-বিরোধী মন্তব্যের জন্য কেনি ওয়েস্টের অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছিল টুইটার।
ট্রাম্পকে টুইটার কেন নিষিদ্ধ করেছিল?
গত বছর ৬ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে তাণ্ডব চালিয়েছিল কিছু বিক্ষোভকারী। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল যে ট্রাম্পের মন্তব্য দাঙ্গাকারীদের উৎসাহিত করেছিল। এরপরই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার। অবশ্য শুধু টুইটারই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবও বাতিল করেছিল ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। এর মধ্যে টুইটারে ট্রাম্প গত বছর দাঙ্গার সময় দাঙ্গাকারীদের 'নরকের মত তাণ্ডব' চালাতে পরামর্শ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃত বহু, আহত কমপক্ষে ৩০০
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এরপরই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এর পাশাপাশি, যে সব রাজনৈতিক নেতারা ওই দাঙ্গা থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো। তাঁর কার্যকালের মেয়াদে বারবার সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোকে নিজের উদ্দেশ্যপূরণে ব্যবহার করার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বারবার উঠেছে। এমনকী, তিনি বেআইনিভাবে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতেও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট কেন ফেরানো হল?
গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) ইলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে একটি ভোটাভুটি শুরু করেন। তাঁর ভোটাভুটির বিষয়বস্তু ছিল, ট্রাম্পকে অ্যাকাউন্ট ফেরানো উচিত কি না? এই ভোটাভুটিতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টুইটার অ্যাকাউন্ট হোল্ডার অংশ নিয়েছিলেন। তাতে ৫১.৮ শতাংশ ভোট পাওয়ায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া নিশ্চিত হয়েছে। যদিও মাস্ক স্বীকার করে নিয়েছেন যে ১৩ কোটি ৪০ লক্ষ টুইটার অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এই ভোটাভুটি দেখেছেন। যার অর্থ, ভোটাভুটিতে টুইটারের মাত্র ১১ শতাংশ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার অংশগ্রহণ করেছেন।
Read full story in English