গত সপ্তাহে কুনো জাতীয় উদ্যানে রেডিও কলারের কারণে ঘাড়ের ক্ষত থেকেই সেপ্টিসেমিয়া হয়ে গিয়ে দুটি চিতা মারা গিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন পশু বিশেষজ্ঞরা। অন্তত আরও তিনটি চিতা- ওবান, এলটন এবং ফ্রেডিরও একইরকম আঘাত দেখা গেছে। চিতা ভারতে পুনরায় ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আশাবাদী প্রশাসনের চেষ্টা এর ফলে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে। তবে, বিষয়টি বেশ কিছু বিশেষজ্ঞকে অবাক করেছে। বিশেষ করে যাঁরা ভারত এবং আফ্রিকা উভয় জায়গাতেই নিয়মিতভাবে বন্যপ্রাণীদের বা বিশেষ করে বিড়াল জাতীয় বন্যপ্রাণীদের পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার কাজে যুক্ত, সেই বিশেষজ্ঞদের অবাক করেছে। কারণ, বিদেশেও তো বিভিন্ন পশুকে রেডিও কলার পরানো হয়। তাহলে এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে কেন?
রেডিও কলারের সমস্যা
রেডিও কলারের একটা বিশেষ সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা শরীরে কোনও কিছু বেশিক্ষণ বহন করলে তৈরি হয়। ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় অন্যদের তুলনায় ঘড়ি পরিধানকারীদের কবজিতে স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে। হাতঘড়ি যাঁরা পরিধান করেন, অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে যে হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীর সংক্রমণের সম্ভাব্য উত্স হিসাবে হাতঘড়িকেই দায়ী করেছেন। এই স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়া রক্তে প্রবেশ করলে রোগীর সেপসিস বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভারতের বিদেশমন্ত্রী বিমসটেক-এ যোগ দিয়েছেন, কিন্তু সেটা আবার কী?
পতঙ্গের কারণে ঘা বৃদ্ধি পায়
পোষা কুকুরেরও তীব্র আর্দ্রতায় ডার্মাটাইটিস বা গরমের জেরে দাগ হয়ে যায়। সেই সব ঘা গুলো প্রায়ই পতঙ্গ বা মাছির কামড়ের কারণে বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত খারাপও হতে পারে। তারা যদি ভেজা কলার পরে থাকে, তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। আবার টাইট-ফিটিং কলারের চাপে নেক্রোসিস হতে পারে। বেডসোরস হতে পারে। যা ঘাড়ের চারপাশে দ্রুত চুল পড়ার সঙ্গেই শুরু হয়। ১৯৭০-এর দশক থেকে স্যাটেলাইট টেলিমেট্রির মাধ্যমে মহাদেশীয় দূরত্ব থেকে পাখি এবং প্রাণীদের পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এই ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলো সময়ের সঙ্গে হালকা এবং আরও আধুনিক হয়েছে। সেটা এতটা যে আজ পোকামাকড়ের জন্যও ভিএইচএফ রেডিও টেলিমিটার রয়েছে।