শিবসেনার দুই বিবাদমান গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনের থেকে নতুন নাম ও প্রতীক পেল। তার মধ্যে উদ্ধব গোষ্ঠীর নাম হল, 'শিবসেনা-উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে'। আর, একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীর নাম হল, 'বালাসাহেব শিবসেনা'। উদ্ধব গোষ্ঠীকে ইতিমধ্যেই মশাল প্রতীক দিয়েছে কমিশন। আর, শিণ্ডে গোষ্ঠীর কাছে পছন্দসই প্রতীকের তালিকা চেয়েছে। বুধবারের মধ্যে এই তালিকা জমা দিতে হবে। শিণ্ডে গোষ্ঠী ত্রিশূল, গদা চেয়েছিল। কিন্তু, ধর্মীয় প্রতীক হওয়ায় কমিশন দেয়নি।
চাহিদা ছিল অন্য
কমিশন সূত্রে খবর, উদ্ধব আর শিণ্ডে- দুই গোষ্ঠীই উদীয়মান সূর্য প্রতীক চেয়েছিল। কিন্তু, কমিশন বলেছে, এটা ডিএমকের প্রতীক। তাই উদ্ধব বা শিণ্ডে, কেউই এই প্রতীক পাবে না। এর আগেই, গত ৮ অক্টোবর, সেনার তির-ধনুক প্রতীক বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। এর মধ্যেই ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। সেই উপনির্বাচনে এই নতুন নাম আর নতুন প্রতীক নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে শিবসেনার দুই বিবাদমান গোষ্ঠী।
কেন 'জ্বলন্ত মশাল'
কমিশন জানিয়েছে, এর আগে 'জ্বলন্ত মশাল' প্রতীক সমতা পার্টিকে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালে সেই দলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়। তারপরই থেকে 'জ্বলন্ত মশাল' কমিশনের কাছে মুক্ত প্রতীক। উদ্ধবরা চাওয়ায় তাই কমিশন দিয়ে দিয়েছে। তবে, উদ্ধবদের 'জ্বলন্ত মশাল' প্রতীক চাওয়ার বিশেষ কারণ আছে। এই প্রতীকের সঙ্গে শিবসেনার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। একটা সময় সেনার নিজস্ব কোনও প্রতীক ছিল না।
আরও পড়ুন- সেজেছে উজ্জ্বয়িনী, সৌন্দর্য দেখে চোখ ঘোরাতে পারবেন না, জানেন কী হয়েছে?
মশাল প্রতীক
সেই সময় এই 'জ্বলন্ত মশাল' প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে জিতেছিল সেনা। সময়টা ছিল ১৯৮৫ সাল। সেই সময়, সপ্তম মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ছগল ভুজবল ছিলেন সেনার একমাত্র বিধায়ক। তিনি মাজগাঁও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে 'জ্বলন্ত মশাল' প্রতীক নিয়ে জিতেছিলেন। সেই সময় ভুজবল, মনোহর জোশীরা কমিশনের কাছে তিনটে প্রতীক চেয়েছিল- 'জ্বলন্ত মশাল', 'উদীয়মান সূর্য' এবং 'ব্যাট-বল'।
ছগনের স্মৃতিচারণ
এই ব্যাপারে স্মৃতিচারণ করে ভুজবল 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'কে জানিয়েছেন, 'আমি জ্বলন্ত মশাল প্রতীকই শেষ পর্যন্ত চেয়েছিলাম। কারণ, জ্বলন্ত মশাল হল বিপ্লবের প্রতীক। যা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের নতুন পথ দেখিয়েছিল।' ৮৫-র সেই নির্বাচন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভুজবল জানান, সেই সময় ব্যাপক হারে দেওয়াল লিখন চলত। জনতাকে প্রতীক বোঝাতে তাই অসুবিধা হয়নি।
Read full story in English