শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণসভায় ১৯৫২ সালের পর প্রথমবারের মতো 'গড সেভ দ্য কিং' গাওয়া হয়।
কোনটা ব্রিটেনের জাতীয় সংগীত?
বর্তমানে যা ব্রিটেনের জাতীয় সংগীত, তা ১৮ শতকে তৈরি বলে মনে করা হয়। রাজপরিবারের ওয়েবসাইট অনুসারে, 'গড সেভ দ্য কিং' একটি দেশাত্মবোধক গান। ১৭৪৫ সালে লন্ডনে প্রথমবার এই গান সকলের সামনে পরিবেশন করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তা জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পায়।
রাজপরিবারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই জাতীয় সংগীতের প্রথম পরিবেশনের পিছনে একটি গল্প রয়েছে, '১৭৪৫ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সিংহাসনের 'ইয়ং প্রিটেন্ডার' প্রিন্স চার্লস এডওয়ার্ড স্টুয়ার্ট এডিনবার্গের কাছে প্রেস্টনপ্যান্সে রাজা দ্বিতীয় জর্জের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। প্রেস্টনপ্যান্সের খবর লন্ডনে পৌঁছনোর পর দেশপ্রেমিক থিয়েটার রয়্যালের ব্যান্ডের নেতা ডুরি লেন উচ্ছ্বাসে, একটি নাটকের পর অভিনয়ের জন্য 'গড সেভ দ্য কিং'-এর ব্যবস্থা করেছিলেন। এর অসাধারণ উপস্থাপনা হয়েছিল। এরপর তা ফের উপস্থাপিত হয়।' এরপর এই গানের মাধ্যমেই রাজাকে জনসমক্ষে অভিবাদন জানানোটা রীতি হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সেই প্রথা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- ভয়ংকর পরিস্থিতি! আর্থিক ক্ষেত্রে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে বন্যায় ডুবল জিডিপিও
বৃটিশ জাতীয় সংগীত কে লিখেছেন বা রচনা করেছেন?
এই গানের কোনও পরিচিত লেখক নেই। অথবা এর সুর কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেননি। ব্যাপারটা ভারতের জাতীয় সংগীতের মত নয়। অর্থাৎ, 'ভারত ভাগ্য বিধাতা'র প্রথম স্তবক, পাঁচটি স্তবকের মধ্যে একটি ব্রাহ্ম স্তোত্র। যা সংস্কৃত এবং বাংলায় রচিত হয়েছিল এবং ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সংগীতের সুর দিয়েছিলেন। ব্রিটেনের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি।
এছাড়া ব্রিটেনের এই সংগীতের কোনও অনুমোদিত সংস্করণও নেই। রাজপরিবারের সাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৮ শতকে ব্রিটেনে ইউরোপের দর্শকরা এই সংগীত শোনার পর, সেই গানের সুর অন্যান্য দেশেও ব্যবহৃত হয়েছে। বিথোভেন, হেইডন-সহ প্রায় ১৪০ জন সুরকার তাঁদের রচনায় এই সুর ব্যবহার করেছেন।
Read full story in English