আজই ঠিক হয়ে যাবে বরিস জনসনের পরে কে সামলাবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি? বিদেশ দফতরের দায়িত্বে থাকা লিজ ট্রাস না ব্রিটেনের অর্থভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন মন্ত্রী ঋষি সুনাক? এই দু'জনের মধ্যেই ছিল শেষ পর্যায়ের দৌড়। যার শেষ ল্যাপে কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে আজই তা ঠিক হয়ে যাবে। এই প্রথমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কুর্সির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বছর ৪২-এর সুনাককে নিয়ে তাই অনাবাসী ভারতীয়রা রীতিমতো উৎসাহিত। তবে, ব্রিটেনের সংবাদপত্রগুলোর দাবি, কুর্সির দৌড়ে এগিয়ে বছর ৪৭-এর লিজ ট্রাস। চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকেই ট্রাস ভারতে এসেছিলেন।
কে জিতলেন, আমরা কখন জানতে পারব?
ফল জানা যাবে ব্রিটেনের সময় সাড়ে ১২টায়। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টায়। কে জিতলেন, তা ঘোষণা করবেন স্যার গ্রাহাম ব্রেডি। তিনি ১৯২২ কমিটির প্রধান। ফলাফল ঘোষণার সময় ব্রিটেনের পার্লামেন্টে উপস্থিত থাকবেন কনজারভেটিভ পার্টির সব জনপ্রতিনিধিই। অনেক সময় অবশ্য ঘোষণার আগেই বোঝা যায় কে ক্ষমতায় বসছেন। যেমন, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে নিশ্চিত পরাজয় বুঝে থেরেসা মে-এর পথ থেকে সরে গিয়েছিলেন অ্যান্ড্রি লিডসম। কিন্তু, সোমবার যে এমনটা ঘটছে না, সেটা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপির জোর ধাক্কা, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা জয় হেমন্ত সোরেন সরকারের
কীভাবে এটা ট্রাস-সুনাকের লড়াই হয়ে উঠল?
যিনি কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হবেন, তিনিই বরিস জনসনের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন। দলের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিদ্রোহ হওয়ায় কুর্সি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বরিস জনসন। তাঁর তিন বছরের শাসনে জনসনের সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। তারপরই জনসনের বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা বিদ্রোহ করেছেন। জনসনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন ১১ জন। টোরি দলের এমপিদের ভোটাভুটির শেষে সেই লড়াই সুনাক আর ট্রাসের মধ্যে এসে ঠেকে। প্রথমদিকে সুনাক অবশ্য লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা তাঁকেই সমর্থন করেছেন।
Read full story in English