ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনাদের কাছে এখন তিনটি বিকল্প রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি মাসের শুরুতে তাঁদের স্বল্পস্থায়ী সপ্তাহান্তিক বিদ্রোহ শেষ হওয়ার পরে এই বিকল্পগুলোর কথা জানিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনীর জওয়ানরা হয় বেলারুশে পুনর্বাসন পেতে পারেন। নতুন তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারেন। অথবা রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে তাঁরা যুক্ত হতে পারেন। তবে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নির্দেশে চলা ২০,০০০ ওয়াগনার যোদ্ধার ভবিষ্যৎ ঠিক কী, তা এখনও সম্পূর্ণ অস্পষ্ট। এমনটাই মনে করছেন ইউক্রেন এবং রাশিয়ার বিশ্লেষক নিকো ল্যাঞ্জ ডিডব্লিউকে। তিনি বলেছেন, ওয়াগনারের ভাড়াটে সেনারা এখন আর রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছে না। এর ফলে উপকৃত হতে চলেছে ইউক্রেন।
রাশিয়া ওয়াগনারের যুদ্ধাস্ত্র চায়
জার্মান বিশ্লেষক ল্যাঞ্জ মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের হয়ে কাজ করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ওয়াগনারের বাহিনীর কাছে রাশিয়ার নিয়মিত সেনাবাহিনীর তুলনায় আরও আধুনিক পদাতিক যুদ্ধের যানবাহন এবং অস্ত্র ছিল। সাম্প্রতিক যে ভিডিওগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে এমনটাই বলা যায়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং তাঁর কমান্ডাররা সম্ভবত ওয়াগনারের বাহিনীর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র হাতে পেতে আগ্রহী হবেন। তবে, ওয়াগনার যোদ্ধাদের রুশ সশস্ত্র বাহিনীতে জুড়ে যেতে সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সন্তান চান, তাঁর বেরিয়ে আসার গল্পে বাবার নাম বাদ থাকুক
উপকৃত হবে ইউক্রেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ওয়াগনারের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ও বেলারুশের স্বৈরতান্ত্রিক শাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যে একটা 'ক্ষমতার খেলা' চলছে। লুকাশেঙ্কো ওয়াগনার বিদ্রোহ অবসান ঘটাতে চুক্তিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই বিদ্রোহ সম্পর্কে মার্কিন গবেষক সংস্থা ইউএস ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার এর গবেষকরা যে উপসংহারে পৌঁছেছেন, তা হল এই ক্ষমতার খেলায় 'স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল পাওয়া যাবে, যা ইউক্রেনকে উপকৃত করতে পারে।' সেই কারণে ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি এবং তার কমান্ডারদের কাছে এখন বিরাট সুযোগ। সেই সুযোগকে মাথায় রেখেই বোধহয় কিয়েভ তার পালটা আক্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনও কোনও বিবরণ ফাঁস করেনি।