শহর-গ্রাম এবং নারী-পুরুষের বিভাজন ছাড়িয়ে এবার ভারতের বেকার সমস্যার আরেকটি দিক সামনে এলো - বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের অসামঞ্জস্য। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ২০১৭-১৮ সালের পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভের (পিএলএফএস) অন্তর্গত তথ্য থেকে প্রকাশ্যে এসেছে এই দিক। লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য পেশ করে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক।
মোট চারটি ধর্মের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে - হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান এবং শিখ - শহর-গ্রাম নির্বিশেষে, মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। চলতি বাজেট অধিবেশনে এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের তরফে ২০১৭-১৮ সালের পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে করে পাওয়া বেকারত্বের পরিসংখ্যান পেশ করা হয়। দেখা যায়, ভারতের গ্রামীণ এলাকায় বেকার সমস্যার সম্মুখীন ৫.৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩.৮ শতাংশ মহিলা। শহরে এই পরিসংখ্যান বেড়ে দাঁড়াচ্ছে যথাক্রমে ৭.১ শতাংশ এবং ১০.৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যান যা বলছে
বৃহস্পতিবার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানতে চান, সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের কোনোরকম পরিকল্পনা রয়েছে কিনা। জবাবে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, কেন্দ্রের অধিকাংশ আর্থসামাজিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ মূলত দরিদ্র এবং নিপীড়িত মানুষদের কথা মাথায় রেখেই গৃহীত, যার সুবিধা পাচ্ছেন সংখ্যালঘুরাও।
নাকভি আরও জানান যে তাঁর মন্ত্রক ঘোষিত সংখ্যালঘু (মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন) গোষ্ঠীদের কর্মযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ানো হবে শিক্ষার মান, এবং করা হবে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতার উন্নয়ন। এই ধরনের কিছু প্রকল্পের উদাহরণও দেন তিনি।