শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে পেশ হওয়া একটি প্রস্তাবে ভারত ভোটদানে বিরত ছিল। প্রস্তাবে 'হামাস' এবং 'পণবন্দি' শব্দ ছিল না। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২০টি। বিপক্ষে ১৪টি। এই ভোটাভুটির আগে সংশোধনী এনে কানাডা হামাসের নাম প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তা যথেষ্ট সমর্থন না-পাওয়ায় কানাডার প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। ভারত অবশ্য প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিয়েছিল বাকি ৮৬টি দেশের সঙ্গে।
Advertisment
শুধু ভারতই নয়। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন এবং ব্রিটেনের মত ৪৫টি দেশ এই ভোটাভুটিতে ভোটদান করেনি। এই ভোটাভুটিতে 'সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আইনি ও মানবিক বাধ্যবাধকতা বজায় রাখা'র ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব 'অবিলম্বে, স্থায়ী এবং মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়েছে।' একইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় বাধাহীন মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকারের ওপর জোর দিয়েছে। এই প্রস্তাবের খসড়া পেশ করেছিল ২২টি আরব দেশের দল। যা প্রস্তাবিত হয়েছে জর্ডান দ্বারা।
ইজরায়েলি বোমা হামলায় প্যালেস্তিনীয় সাধারণ নাগরিকদের হত্যার সমালোচনা করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রস্তাবের পক্ষে ছিল বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাঁচটি ছোট প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ এবং চারটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশ- অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেকিয়া এবং হাঙ্গেরি সেই ১৪ সদস্যের অন্যতম, যারা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। জর্ডান বলেছে যে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট একটি 'বুদ্ধিহীন যুদ্ধ' এবং 'বুদ্ধিহীন হত্যা' অনুমোদনের সমান। অন্যদিকে ইজরায়েল 'কুখ্যাতি' হিসেবে ভোটটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্য প্রস্তাবটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় কানাডা এই সংকটে হামাসের দায়িত্ব নির্ধারণ করতে চেয়েছিল। পাকিস্তান কানাডার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তান বলেছে যে, জর্ডান যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে কিন্তু ইজরায়েলের নিন্দা করা হয়নি। আরব দেশগুলো ইচ্ছা করেই সেটা করেছে। তাই কানাডার উচিত হয়নি, তাদের প্রস্তাবে হামাসের নাম উল্লেখ করা।