Advertisment

ব্যাঙ্ক ফেল পড়লে আপনি এখন আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত

বিমাকৃত জমার মাত্রার শতকরা পরিমাণ নির্ধারণযোগ্য জমার তুলনায় প্রতি বছর কমছে। ২০০৭-০৮ সালে এই পরিমাণ ছিল ৬০.৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ সালে এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৮.১ শতাংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bank Deposit Insurance

পিএমসি ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ

ব্যাঙ্কে জমার উপর বিমার পরিমাণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। গত কয়েক মাস ধরে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

Advertisment

পাঞ্জাব মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক (PMC) ফেল পড়ার পর ভারতের ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জমার উপর অত্যল্প বিমার বিষয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়।

সংসদের বিগত শীতকালীন অধিবেশনে ইঙ্গিত ছিল কেন্দ্রীয় সরকার এই আচ্ছাদনের পরিমাণ বাড়াতে চাইছে, এবং এ নিয়ে আইনও হবে।

এখন ব্যাঙ্ক যদি ফেল পড়ে তাহলে এ দেশে একজন জমাকারী বিমার অঙ্ক হিসেবে সর্বাপেক্ষা ১ লক্ষ টাকা বিমারাশি দাবি করতে পারেন, সে তাঁর জমার পরিমাণ যতই এক লক্ষ টাকার বেশি হোক না কেনষ

ব্যাঙ্ক ফেল পড়লে তাঁর অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকার বেশি থাকলেও আইনি দিক থেকে এই গ্রাহকের কিছু করার নেই।

এই অঙ্ককে বলা হয় ডিপোজিট ইনশিওরেন্স। এই এক লক্ষ টাকার বিমা দিয়ে থাকে ডিপোজিট ইনশিওরেন্স এযান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC), ষা সম্পূর্ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতাধীন সংস্থা।

এই এক লক্ষ টাকার বিমার মধ্যে থাকে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, স্থানীয় ব্যাঙ্ক এবং সমবায় ব্যাঙ্ক।

বিমাকৃত জমার মাত্রার শতকরা পরিমাণ নির্ধারণযোগ্য জমার তুলনায় প্রতি বছর কমছে। ২০০৭-০৮ সালে এই পরিমাণ ছিল ৬০.৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ সালে এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৮.১ শতাংশ।

২০১৯ সালের মার্চের শেষে DICGC-র দেওয়া তথ্য অনুসারে নথিভুক্ত বিমাকৃত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ২০৯৮- এর মধ্যে ১০৩টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, ১৯৪১টি সমবায় ব্যাঙ্ক, ৫১টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং তিনটি স্থানীয় ব্যাঙ্ক।

১৯৮০ -তে বিমার পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা, ১৯৯৩ সালের মে মাসে এই অঙ্ক বেড়ে হয় ১ লক্ষ টাকা।

ব্যাঙ্ক জমায় DICGC প্রতি ১০০ টাকার জন্য ১০ পয়সা করে চার্জ নেয়। বিমার জন্য প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম ব্যাঙ্কগুলিকে দেয় কর্পোরেশন, জমাকারীর উপর এ খরচ চাপানো যায় না। DICGC তথ্য অনুসারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক মোট ১১১৯০ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ সালে প্রিমিয়াম হিসেবে জমা দিয়েছে, আর সমবায় ব্যাঙ্কগুলি জিয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা।

সমবায় ব্যাঙ্কগুলির মোট নির্ধারণযোগ্য জমার মাত্র ৪৪.৫ শতাংশ ২০১৮-১৯ সালে বিমাকৃত, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ২৫.৭ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতেই এ দেশের ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের সবচেয়ে বড় অংশ রয়েছে।

Union Budget 2020
Advertisment