Advertisment

৭৫ বছরে পদার্পণ রাষ্ট্রসংঘের, ঐতিহাসিক মুহুর্তে একত্রিত হলেন বিশ্বনেতারা

'দ্য ফিউচার উই ওয়ান্ট, দ্য ইউএন উই নিড' এই ভাবনা নিয়েই সোমবারের এই বৈঠক। যদিও ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ১৯৩ জন সদস্যে ভার্চুয়ায়লি বৈঠক করেন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা ভাইরাস, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন নীতি, ভারত-চিন অশান্ত সীমান্ত, সিরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন, ব্রেক্সিট- সব মিলিয়ে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রই কোনও না কোনও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই ২০২০ সালে ৭৫ বছরে পদাপর্ণ করল রাষ্ট্রসংঘ। ঐতিহাসিক মুহুর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের একদিনের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বিশ্ব নেতারা একত্রিত হন। 'দ্য ফিউচার উই ওয়ান্ট, দ্য ইউএন উই নিড' এই ভাবনা নিয়েই সোমবারের এই বৈঠক। যদিও ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ১৯৩ জন সদস্যে ভার্চুয়ায়লি বৈঠক করেন এবং তা অবশ্যই করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে।

Advertisment

এই বৈঠকে যে ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হয় তা রাষ্ট্রসংঘের গৌরবময় বছরগুলিকে ফিরে দেখায় এবং এর অর্জন ও ব্যর্থতার কথা বলে। আগামীদিনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যও নির্ধারণ করে। "পরের দশ বছরকে একটি মজবুত উন্নয়নের জন্য কর্ম এবং সরবরাহের দশক হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আমাদের প্রজন্মের মধ্যে এই মুহুর্তের জন্য যা সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে তা হল কোভিড অতিমারী। এই সঙ্কট থেকে আমরা নিজেদের আরও উন্নিত করার জন্য আগামী দিনগুলিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী দশ বছরের জন্য তালিকাভুক্ত লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রহ ও পরিবেশের সুরক্ষা, শান্তি, লিঙ্গ সমতা, মহিলা ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল সহযোগিতা এবং মজবুত অর্থনীতি।"

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা থেকেই রাষ্ট্রসংঘের জন্ম হয়েছিল। এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠার সময় এটির মূল মন্ত্র ছিল বিশ্ব শান্তি বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মকে যুদ্ধের কুফল থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া। রাষ্ট্রসংঘ আসলে সেই ফিনিক্স পাখি যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালের জুন মাসে তৈরি হওয়া জাতিপুঞ্জের (লিগ অফ নেশনস)-এর থেকে জন্ম নেয়। ১৯৪১ সালে কানাডাতে গোপনে বৈঠক করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল। লক্ষ্য ছিল একটাই এমন একটি 'বডি' তৈরি করা যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হবে। দুই প্রধান একসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছিল যা আটলান্টিক সনদ নামে পরিচিত হয়েছিল। এটি কোনও চুক্তি ছিল না, কেবল রাষ্টসংঘ গঠনের পথ প্রশস্ত করার একটি প্রতিশ্রুতি ছিল। সেখানে বলা হয় যে, "দেশগুলির জাতীয় নীতিগুলিতে কিছু সাধারণ প্রচলিত নীতিগুলির বাস্তবায়নকে মেনে হবে যার ভিত্তিতে তারা বিশ্বের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের প্রত্যাশাকে ভিত্তি করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।"

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল এবং প্রথমবারের মতো অক্ষ শক্তিগুলির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ দেশগুলি চিহ্নিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি রুজভেল্টের দ্বারা প্রথম "রাষ্ট্রসংঘ" শব্দটি তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং চিন এই সংঘের চার গুরুত্বপূর্ণ মাথা হয়ে ওঠে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

United Nations
Advertisment