United States plans to deliver humanitarian aid to Gaza: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা। নিয়মিত সেখানে বোমা হামলা, অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলের বাহিনী। একসঙ্গে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন হামাসও। এই দুই পক্ষের লড়াইয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা হলেন গাজার সাধারণ মানুষ। তাঁদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে মানবিক সাহায্য দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে আমেরিকাও। এমনিতে ইজরায়েল চারপাশ থেকে গাজা এলাকাকে ঘিরে রেখেছে। সোজা কথায় বললে, অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এমন অবস্থায় গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকী, রাষ্ট্রসংঘও মানবিক সাহায্য দেওয়ার সময় সমস্যা তৈরি করছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী বা আইডিএফ। আর, তাতেই প্রশ্ন উঠছে, এরকম পরিস্থিতিতে আমেরিকাই বা কীভাবে গাজাবাসীর কাছে সাহায্যে পৌঁছে দেবে?
- গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইজরায়েল।
- গাজায় ত্রাণ সাহায্য পৌঁছে দিতেও ইজরায়েল বাধা দিচ্ছে।
- বাধ্য হয়েই নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে আমেরিকা।
সেই প্রশ্নের অবসান ঘটিয়েছেন পেন্টাগনের বিমান বাহিনীর প্রেসসচিব মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার। তিনি গত ১২ মার্চ জানিয়েছিলেন, মার্কিন সেনার জাহাজ ভার্জিনিয়া থেকে যাবতীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে রওনা দিয়েছে। গাজায় ভাসমান জেটি বানানো হবে। সেই জেটির সাহায্যে গাজাবাসীর কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেবে আমেরিকা। রাইডার বলেন, 'আশা করছি দুই মাস (৬০ দিন)-এর মধ্যেই জেটি ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে শুরু করা সম্ভব হবে। এই জেটির সাহায্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষ গাজাবাসীর হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।' এই ব্যাপারে ইজরায়েলের সঙ্গেও আমেরিকার প্রাথমিক কথা হয়ে গিয়েছে। যে প্রকল্পে এই ভাসমান জেটি তৈরি হতে চলেছে, তার নাম হল- জয়েন্ট লজিসটিকস ওভার দ্য শোর (JLOTS)। এই ব্যাপারে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্তা কমোডর শ্রীকান্ত কেসনুর (অবসরপ্রাপ্ত) দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, JLOTS নতুন কিছু না। যখন এক বা একাধিক জেটি ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে যায়, তখন এইরকম অস্থায়ী ভাসমান জেটি তৈরি করে কাজ চালানো হয়।
আরও পড়ুন- দিল্লি আবগারি মামলায় অভিযুক্ত ‘দক্ষিণী গ্রুপ’, কেসিআরের মেয়ে কীভাবে তাতে জড়িয়ে পড়লেন?
কমোডোর কেসনুর বলেন, 'এমন ভাসমান জেটি তৈরি সামরিক কার্যকলাপেরই অংশ। কোনও দেশের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ও এমন অস্থায়ী ভাসমান জেটি তৈরি করা হয়। অথবা, কোথাও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্যও অস্থায়ী জেটির সাহায্য নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে মালপত্র ওঠানো এবং নামানো, সবটাই সমুদ্রের ওপর থাকা অস্থায়ী জেটিতেইই করা যায়। কোনও দেশের স্থলে নামার দরকারই পড়ে না।'