এখন ফেব্রুয়ারি চলছে। হিসেবমতো এটা শীতের মাস। কিন্তু, এই সময়ও দেশের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করেছে। এই বছর যেন গোড়া থেকেই একটা প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। অন্তত শুরুটা যদি বছরের বাকি সময়ের পরিচয় হয়ে থাকে, তবে হিসেব তো তা-ই বলছে। আর, এতেই প্রশ্ন জাগছে, এবছর কি ব্যাপক গরম পড়বে? সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে কত হতে পারে?
আর, এই ব্যাপক গরম পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এদেশে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে। তাই, সেখানেই আশঙ্কাটা বেশি। এমনিতে ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বর্তমানে যে গরমটা চলছে, আর বড়জোর দু'দিন। কিন্তু, সেটা কমলেও তাপমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার ওপরে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল, গত ৩০ বছরের ওপর ভিত্তি করে যদি তাপমাত্রার সম্ভাব্য পরিমাণটা ধরতে হয়ে, তবে বলতে হবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আর, এটাই স্বাভাবিক।
অবশ্য, এর মধ্যে অঞ্চলভেদে কিছু পরিবর্তন থাকে। উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিভিন্নরকম হয়। গত সপ্তাহেই যেমন, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ অংশে সর্বাধিক তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে যে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে, তা স্পষ্টভাবে বোঝা গিয়েছে। কারণ, কিছু জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- তাপের সমস্যায় দেশের গম ফলন, পথ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা
যাইহোক, স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রার সবচেয়ে বড় বিচ্যুতি দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের অপেক্ষাকৃত শীতল রাজ্যগুলোয়। যেখানে কিছু জায়গা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণতার মুখোমুখি হয়েছে। আসলে, এই ধরনের অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রাকে 'তাপ তরঙ্গ' বলা হয়। কারণ, আইএমডির হিসেবমতো প্রত্যেক জায়গার একটা স্বাভাবিক তাপমাত্রা রয়েছে। সেই অনুযায়ী, স্থির করা হয় কোন এলাকার তাপমাত্রা কত বেশি এবং কোন এলাকার কত কম।