মার্কিন সংস্থাগুলো অর্থনৈতিক মন্দার পরিবেশের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারিগরি থেকে অন্য নানা ধরনের সংস্থা, সবেরই এক লক্ষ্য। মন্দা পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে রক্ষা করা। আর, সেই জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ নিয়েছে সংস্থাগুলো। সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়া আচমকা অক্টোবরে বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারি মাসের পর সেটাই সবচেয়ে বেশি ১৩% ছাঁটাই বৃদ্ধি। অক্টোবরে ৩৩,৮৪৩ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে বিভিন্ন নামী সংস্থা থেকে। এমনটাই রিপোর্টে জানা গিয়েছে। এতে রীতিমতো শিহরিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা।
অ্যামাজন ডট কম ইংক-
এই ই-কমার্স জায়ান্ট তার বহু কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। এই কোম্পানির সূত্রে খবর, অ্যামাজন এখনও পর্যন্ত তার খুচরো বিভাগ এবং মানবসম্পদ-সহ প্রায় ১০,০০০ চাকরিরত কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।
মেটা প্ল্যাটফর্ম ইংক-
ফেসবুকের এক কর্তা জানিয়েছেন যে এই সংস্থাটি বিজ্ঞাপনের খবর এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতেই বড়সড় ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। চলতি বছরে যে সব বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে, তার মধ্যে মেটা অন্যতম। এটি তার মোট শ্রমশক্তির ১৩% বা ১১,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।
ডোর ড্যাশ ইংক-
খাদ্য বিতরণ সংস্থাটি অতিমারির জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর, তার জেরে সংস্থাটি ১,২৫০ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। সবটাই খরচ কমিয়ে সংস্থাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
এএমসি নেটওয়ার্ক ইংক-
কেবল টিভি সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা তাদের শ্রমশক্তির ২% ছাঁটাই করবে। সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ক্রিশ্চিনা স্পেডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্রিশ্চিনা মাত্র তিন মাস এই সংস্থায় কাজ করলেন।
আরও পড়ুন- কীভাবে উধাও হয়ে গেল দেশের ৫০টি স্মৃতিসৌধ, কী বলছে সংস্কৃতি মন্ত্রক?
ক্রাকেন-
এইক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ সংস্থাটি জানিয়েছে যে এটি তার বিশ্বব্যাপী শ্রমিক সংখ্যা ৩০% বা প্রায় ১,১০০ কমিয়ে দেবে। তাদের বক্তব্য, বাজারের চাহিদা কমেছে। এই অবস্থায় কর্মীর সংস্থা কমানো ছাড়া তাদের কাছে উপায় ছিল না।
সিটি গ্রুপ ইংক-
ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলোর ওপর আর্থিক মন্দর প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ব্যাংকটি তার বিভিন্ন বিভাগ থেকে বেশ কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।
Read full story in English