US Secret Service agency: আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সি! যার নাম শুনলে কপালে স্যালুট ঠোকে বিশ্বের অনেক নিরাপত্তা সংস্থাই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে আততায়ী গুলি ছোড়ার পর, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস সেই সময় কী করছিল, তা জানার জন্য অনেকেই উৎসুক। তার কারণ, বর্তমান এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সুরক্ষার দায়িত্ব এই সিক্রেট সার্ভিসের ওপর। অতীতে আততায়ীদের হামলায় চার জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রাণ হারিয়েছেন। তারপর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নিরাপত্তার কড়াকড়ি বেড়েছে। সিক্রেট সার্ভিসকে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নিরাপত্তা বলয়ের অঙ্গ করা হয়েছে। আর, এই কারণেই প্রশ্ন উঠছে, সিক্রেট সার্ভিস থাকতেও ট্রাম্পের ওপর কীভাবে হামলা হল?
Advertisment
তদন্তে নেমেছে এফবিআই
ইতিমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে তাঁকে হত্যার চেষ্টার তদন্তে নেমেছে মার্কিন ফেডারেল সংস্থা এফবিআই। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী। শনিবার পেনসিলভানিয়ার বাটলার কান্ট্রিতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। একজন ২০ বছর বয়সি ব্যক্তি ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে তাঁর দিকে একাধিক গুলি ছুড়েছেন। গুলিতে ট্রাম্প কানে আঘাত পেয়েছেন। তবে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ট্রাম্প সুস্থই আছেন। ওই ঘটনার পর মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে মারা গিয়েছে হামলাকারী বন্দুকধারী। সরকারি সংস্থা এই সিক্রেট সার্ভিসই ট্রাম্পকে রক্ষা করার দায়িত্বে। এই হামলার ঘটনায় সিক্রেট সার্ভিসের কাছেও জবাবদিহি তলব করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ওপর হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বন্দুকধারীকে রাইফেল নিয়ে ট্রাম্পের থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে এক ভবনের ছাদে তিনি উঠতে দেখেছেন। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনি পুলিশ এবং সিক্রেট সার্ভিসকেও সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি বলে ওই প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ। তিনি দাবি করেছেন, ছাদে উঠতে দেখার কয়েক মিনিট পরেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে অভিযুক্ত আততায়ী।