'অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে' মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ২৪মে নতুন মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন। যা, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে এক বিস্ময়কর নতুন মোড়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসখানেক আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে আমেরিকা তাঁর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার পরই নতুন ভিসানীতির ঘোষণা করলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী। যার প্রভাব বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনীতিতেও পড়তে পারে।
মার্কিন ভিসানীতি
ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বর্তমান এবং প্রাক্তন বাংলাদেশি আধিকারিক, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলের সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপর কার্যকর হবে। মার্কিন অভিবাসন দফতর সেই সব ব্যক্তিদের ভিসা দেবে না, যাঁরা বাংলাদেশে অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ব্যাহত করছে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে গত বছর থেকে বাংলাদেশে বিরোধীদের বিক্ষোভ অব্যাহত। তার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা। যা বিরোধীদের 'নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন' গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির পালে হাওয়া দিল। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে হাসিনা সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাবে, এটা তারা বিশ্বাস করতে পারছে না। এই অভিযোগের পাশাপাশি, বিরোধী দলগুলো তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে হাসিনার সরকারের কাছে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন- রাশিয়ায় বিপুল বিনিয়োগ, বিপাকে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো, লভ্যাংশ আটকে মস্কোয়
প্রতিদিন প্রতিবাদ
তিনটি মেয়াদে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসেছে শেখ হাসিনার সরকার। যা ক্রমশ স্বৈরাচারী রূপ নিচ্ছে বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। এর আগে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়, জামায়ত-ই-ইসলামিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা, আদালত তৈরি করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন হাসিনা। বর্তমানে অবশ্য আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল বিএনপি নিজেদের গুছিয়ে নিতে মরিয়া। আর, তার জেরে বাংলাদেশের রাজপথ বর্তমানে প্রতিদিন রাজনৈতিক ক্ষোভ-বিক্ষোভ ইস্যুতে সরব প্রতিবাদের সাক্ষী হচ্ছে।