গত ১ মে, মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে যেসব H-1B ভিসাধারী এবং গ্রিন কার্ডের আবেদনকারীদের নথিপত্র দিতে বলা হয়েছিল, নভেল করোনাভাইরাস প্রকোপের জেরে তাঁদের এইসব নথি জমার সময়সীমা ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (USCIS) নোটিস বা আবেদনের সময়সীমা ২০২০-র ১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১ মে করেছিল। সংস্থার নতুন নোটিফিকেশন অনুসারে সেই সময়সীমা ১ মার্চ থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত করা হল।
USCIS-এর তরফে জানানো হয়েছে রিকোয়েস্টস ফর এভিডেন্স, কন্টিনিউয়েশনস টু রিকোয়েস্ট এভিডেন্স (N-14), নোটিসেস অফ ইনটেন্ট টু ডিনাই, নোটিসেস অফ ইনটেন্ট টু রিভোক, নোটিসেস অফ ইনটেন্ট টু রিসাইন্ড অ্যান্ড নোটিসেস অফ ইনটেন্ট টু টার্মিনেট রিজিওয়নাল ইনভেস্টমেন্ট সেন্টারস, এবং Form I-290B ভরার তারিখ, আপিল বা মোশনের নোটিসের ক্ষেত্রে এই ছাড় লাগু হবে।
ঘোষণায় বলা হয়েছে USCIS উপরোক্ত আবেদন বা নোটিসের জবাব দেওয়ার তারিখের পর আরও ৬০ দিন সময় পাবেন।
বলা হয়েছে, "USCIS আমাদের কর্মীবাহিনী ও কমিউনিটিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এবং যাঁরা অভিবাসন চাইছেন তাঁদের অভিবাসন পরিস্থিতি কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে।"
১৩ এপ্রিল মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানিয়েছিল H-1B ভিসার মত অনভিবাসী ভিসাধারীদের সে দেশে থাকার আবেদনের সময়সামা বাড়ানো হবে। সে সিদ্ধান্ত করোনাভাইরাস অতিমারীর কারণে আমেরিকায় আটকে পড়া হাজার হাজার ভারতীয় কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং পর্যটকদের মধ্যে স্বস্তির বাতাবরণ এনে দিয়েছিল।
এপ্রিল মাসের নোটিফিকেশনেও বিলম্বিত আবেদনের ব্যাপারে সময়সীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল সরকার কোভিড-১৯ জনিত হাতের বাইরে চলে যাওয়া পরিস্থিতির জেরে সময়মত আবেদন করতে না পারার জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে দেবে।
সম্প্রতি অতিমারীর জেরে আমেরিকা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত, সেখানে মারা গিয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
USCIS প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার অতিদক্ষ বিদেশি কর্মীকে H-1B ওয়ার্ক ভিসা দিতে পারে। এ ছাড়া কোনও আমেরিকান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার্স বা উচ্চতর ডিগ্রিধারী অতিদক্ষ আরও ২০ হাজার অতিরিক্ত বিদেশিকে H-1B ভিসা দিতে পারে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন