The risk of Glacial Lake Outburst Floods: দেশের পার্বত্য রাজ্য উত্তরাখণ্ডের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন। ধর্মীয় পর্যটনকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর উত্তরাখণ্ডে পর্যটকরা ব্যাপকহারে ভিড় জমান। তার মধ্যে বাঙালি পর্যটকদের সংখ্যা যথেষ্ট। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বন্যা পর্যটকদের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। এর পিছনে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার জেরে হওয়া হিমবাহী হ্রদ বিস্ফোরণ, ২০১৩ সালে কেদারনাথ উপত্যকা এবং ২০২১ সালে চামোলির কিছু অংশকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। যা বুঝিয়ে দিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞদের দল গঠন
উত্তরাখণ্ড সরকার এই অঞ্চলে পাঁচটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক হিমবাহী হ্রদের দ্বারা সৃষ্ট বন্যা-পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে বিশেষজ্ঞদের দুটি দল গঠন করেছে। এই হ্রদগুলো 'হিমবাহ লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডস' (GLOFs) হিমবাহ হ্রদ ভেঙে হওয়া বন্যাপ্রবণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হিমালয়ের কোলে থাকা রাজ্যগুলোতে বেশ কয়েকটি বিপর্যয়ের ফলেই হিমবাহী হ্রদের দ্বারা সৃষ্ট বন্যা-পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কীভাবে এমন বন্যা প্রতিরোধ করা যায়, বিশেষজ্ঞরা তা খতিয়ে দেখছেন। এক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী উপায় অবলম্বন করা যায়, তা-ও স্থির করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
যে হ্রদগুলোর আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি, সেগুলো চিহ্নিত
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) হিমালয়ের রাজ্যগুলোতে ১৮৮টি হিমবাহী হ্রদ চিহ্নিত করেছে। এই সব হ্রদগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ভেঙে বন্যা ঘটাতে পারে। চিহ্নিত হ্রদগুলোর মধ্যে ১৩টি হ্রদ আবার উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। আর, এর ফলেই হিমবাহ থেকে তৈরি হওয়া হ্রদ ভেঙে বন্যার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি মানুষ হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদ ভেঙে তৈরি হওয়া আকস্মিক বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘রিং অফ ফায়ার’- নামটা শুনলেই চমকে ওঠেন ভূবিজ্ঞানীরা, কী এই আগুনের আংটি?
GLOFs কী?
GLOF হল এমন ধরনে দুর্যোগ, যা হিমবাহের হ্রদ থেকে জল আচমকা বেরিয়ে আসার ফলে সৃষ্ট হয়। এই জলের বড় অংশ গলিত হিমবাহের সামনে, ওপরে বা নীচে থাকে। একটি হিমবাহ গলে গেলে সেখানে জল ধরে রাখার মত জায়গা তৈরি হয়। যেখানে হিমবাহ গলা জল এসে জমা হয়। আর, হ্রদ তৈরি করে।