Advertisment

Premium: টানেল দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত কী এই অগার মেশিন, কেন বারবার বাঁধা, পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী ?

কীভাবে কাজ করে অগার মেশিন? উদ্ধার অভিযান কেন বিলম্বিত, জানুন!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
"Uttarakhand tunnel collapse, Uttarakhand tunnel rescue operations, Uttarakhand tunnel collapse updates, Uttarkashi tunnel collapse, indian express"

কীভাবে কাজ করে অগার মেশিন? উদ্ধার অভিযান কেন বিলম্বিত

উত্তরকাশীতে টানেল দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৫ দিন। এখনও সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে থেকে শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হয়নি। কবে মিলবে মুক্তি তারও কোন সদুত্তর নেই। বারে বারে ড্রিলিং মেশিন বিভ্রাটের কারণে বাঁধা পাচ্ছে উদ্ধার কার্য। এবার তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ম্যানুয়ালি ড্রিলিং-য়ের মাধ্যমেই চলবে উদ্ধার অভিযান।

Advertisment

আমেরিকায় তৈরি অগার যন্ত্রটি শুক্রবার রাতে সুড়ঙ্গের লোহার কাঠামোয় আটকে ভেঙে গিয়েছিল। সেই যন্ত্র আর মেরামত করা সম্ভব নয়। ফলে অন্য রাস্তা খুঁজতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাকি কয়েক মিটার হাত দিয়েই খুঁড়ে ফেলা হবে। শাবল-সহ অনান্য সরঞ্জাম নিয়ে সুড়ঙ্গে নামবেন শ্রমিকেরা।

রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে সেই প্রস্তুতি। সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে খোঁড়ার কথাও ভাবা হয়েছে। তার জন্য হায়দরাবাদ থেকে অন্য একটি যন্ত্র আনা হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন পাহাড়ের উপরের অংশ পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যন্ত্রটিকে সুড়ঙ্গের মাথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে খোঁড়া শুরু হতে পারে।

এখন পর্যন্ত, উদ্ধারকর্মীরা ৪৬ মিটার (১৫১ ফুট) খনন করেছেন এবং পথ তৈরি করতে আরও ১২ মিটার (৪০ ফুট) খনন করতে হবে। ইতিমধ্যে, উত্তরাখণ্ড সরকার আটকে পড়া শ্রমিকদের ৬-ইঞ্চি (১৫ সেন্টিমিটার) পাইপের মাধ্যমে চাল এবং ডালের তৈরি গরম খাবার সরবরাহ করছে। এছাড়া আলাদা পাইপের মাধ্যমেও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

কী সেই ভারী অগার মেশিন, যা ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকার্য্যে ব্যবহৃত হচ্ছে
উত্তরকাশীতে টানেল উদ্ধার অভিযানের ছবি যা আপনি টিভি বা সংবাদপত্র বা ডিজিটাল মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন। এই সুড়ঙ্গ খনন করতে বিশাল আগার ড্রিলিং মেশিনের ছবি সামনে এসেছে । সিল্কিয়ারা টানেলে স্থাপিত অগার মেশিনটি একবারে ৫০ মিটার পর্যন্ত ড্রিল করতে সক্ষম বলে দাবি করা হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রবেশ ও উদ্ধারের জন্য টানেলে যে স্থানটি তৈরি করতে হবে তা ৩০ মিটার বা তার বেশি।

আসুন জেনে নিই কি কি এই অগার মেশিন?
টানেলে যে অগার ড্রিলিং মেশিন দিয়ে চলছিল খনন কাজ সেটি হল একটি আমেরিকান অগার মেশিন, যা দিল্লি থেকে বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানের সাহায্যে দেরাদুনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে এটি সড়কপথে উত্তরকাশীতে আনা হয়। এই যন্ত্রটি ঘণ্টায় ৫ মিটার বেগে টানেলে জমে থাকা ধ্বংসাবশেষ খনন করতে পারে। অর্থাৎ মেশিনের সাহায্যে ১০ ​​ঘন্টার মধ্যে ৫০ মিটার পর্যন্ত খনন করা সম্ভব। প্রথম ড্রিলিং মেশিনগুলি খুব ধীর ছিল এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

এই অগার মেশিনটিকে ইঞ্জিনিয়ারিং হরাইজন্টাল অগার ড্রিলিং মেশিন বলা হয়। এই যন্ত্রটি শুধু পাথর এবং ধ্বংসাবশেষে গর্ত করে না বরং এর ভিতরে গিয়ে আরও জায়গা তৈরি করে এবং এর বাঁকা ব্লেডগুলি সেখান থেকে ধ্বংসাবশেষও বের করে দেয়।

অগার মেশিনগুলি তাদের আকার এবং কাজের উপর নির্ভর করে আর্থ অগার, আর্থ ড্রিল বা পোস্ট-হোল অগার নামে পরিচিত। অগার মেশিন সাধারণত নির্মাণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়। বৃহৎ ক্ষমতার আর্থ অগারগুলি গভীর খনন করতে এবং মাটি থেকে জল বা তেলের মতো তরল বের করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, যে মেশিন দিয়ে টানেলে গর্ত করা হচ্ছিল, সেই অগার মেশিনটি বারবার বাধা পেয়েছে। ড্রিলিং করার সময় মেশিনটি ভেঙেও গিয়েছে। তাই এবার ম্যানুয়াল ড্রিলিং বা বিকল্প পথের কথা ভাবছেন উদ্ধারকারীরা। প্রায় ৬০ মিটার পাথর ভেদ করতে ব্যবহৃত ভারী ড্রিল মেশিনটি শুক্রবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টায় মেশিনটি টানেল থেকে সম্পূর্ণভাবে টেনে বের করা হয়।

যেহেতু ভাঙা অগার ব্লেডটি টেনে আনার কোন উপায় নেই, উদ্ধারকারীদের ৮০০ মিমি চওড়া পাইপের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে এবং পথ পরিষ্কার করতে ৩২ মিটার দীর্ঘ অগার ব্লেড টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, তারা গ্যাস কাটার ব্যবহার করে মেশিনের প্রায় ২০ মিটার ইতিমধ্যে কেটে ফেলেছে। উদ্ধারকারীরা হায়দ্রাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটারও এনেছে।
প্লাজমা কাটার বিভিন্ন ধরণের বৈদ্যুতিক পরিবাহী উপকরণ যেমন ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, স্টেইনলেস স্টীল, তামা এবং অন্যান্য ধাতু কাটার জন্য ব্যবহৃত হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, প্লাজমা কাটার ব্যবহার করলে মেশিন কাটার গতি বাড়বে। বর্তমানে, তারা এক ঘন্টায় প্রায় ১.৫ মিটার আটকে থাকা অগারটি কাটতে সক্ষম হয়েছে। প্লাজমা কাটার দিয়ে, তারা এক ঘন্টায় এটি প্রায় ৪ মিটার কাটতে পারে।

আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে আছেন ঝাড়খণ্ডের ১৫ জন, উত্তরপ্রদেশের ৮ জন, ওড়িশা ও বিহারের ৫ জন, পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন, উত্তরাখণ্ডের ২ ও অসমের ২ জন। এছাড়াও আছেন হিমাচল প্রদেশের ১ জন। এঁদের মধ্যে যেমন দক্ষ শ্রমিকরা আছেন। তেমনই আছেন অদক্ষ শ্রমিকরাও। দক্ষ শ্রমিক বা পাম্প অপারেটর অর্থাৎ ড্রিলাররা পান মাসিক ২৪ হাজার টাকা করে। আর, অদক্ষ শ্রমিকরা পান মাসে ১৮ হাজার টাকা করে।

সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা করেছে টেলিফোন পরিষেবা সংস্থা বিএসএনএল। শ্রমিকদের হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএসএনএল কর্তা। এই ব্যাপারে বিএসএনএল কর্তা তথা ডিজিএম রাকেশ চৌধুরী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বানিয়েছি। খাবার পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত পাইপের মাধ্যমে আমরা তাদের লাইনের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ যুক্ত করে শ্রমিকদের একটি ফোন দেব। তাতে ইনকামিং এবং আউটগোয়িং দুটো পরিষেবাই থাকবে। তাঁরা (শ্রমিকরা) তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। সিল্কিয়ারা টানেল থেকে ২০০ মিটার দূরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি তৈরি করা হয়েছে।’

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা এবং দান্দলগাঁওয়ের মধ্যে নির্মীয়মান টানেলে আটকা পড়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। পরিবারের সদস্যরা ১৫ দিনে বেশ কয়েকবার খবর পেয়েছেন যে উদ্ধার অভিযান সফল হতে চলেছে এবং শ্রমিকদের বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের আশাহত হতে হয় তাদের। এই শ্রমিকদের অনেক আত্মীয় ঋণ নিয়ে উত্তরকাশী পৌঁছেছেন এবং সারাদিন টানেলের বাইরে অপেক্ষা করছেন।

সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকে ৪১ শ্রমিক, বাইরে তুষারপাতের আশঙ্কা..! উত্তরকাশীতে হলুদ সতর্কতার মধ্যে উদ্ধার অভিযানে চ্যালেঞ্জের মুখে

আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের অভিযানের ১৫তম দিন। ৮০ সেন্টিমিটার ব্যাসের শেষ ১০ মিটার পাইপ বিছানোর কাজটি গত তিন দিন ধরে করা সম্ভব হয়নি, কারণ ড্রিলিংয়ে ব্যবহৃত অগার মেশিনটি বারবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

এদিকে, আবহাওয়া বিভাগ (IMD) উত্তরাখণ্ডের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। সোমবার ভারী বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যার কারণে উদ্ধার অভিযান আরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে কী কী ঘটেছে এবং শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার পথে এখনও কী কী চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে? দেখে নিন এক নজরে

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, অগার মেশিনের ব্লেড ধ্বংসস্তূপে আটকে যাওয়ার কারণে কাজ ব্যাহত হওয়ার পরে, অন্যান্য বিকল্পগুলি বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিকে, শনিবার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী মাসে বড়দিনের মধ্যে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসবেন। শুক্রবার প্রায় পুরো দিন ধরে ড্রিলিং কাজ ব্যাহত হয়েছে। যদিও সমস্যার গুরুত্ব শনিবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন টানেলিংয়ের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে অগার মেশিনটি "অকেজো" হয়ে গেছে।

আবহাওয়া বিভাগ তুষারপাত সংক্রান্ত একটি হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরকাশী, রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, পিথোরাগড় এবং আলমোড়ার উপরিভাগে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি তুষারপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে করেছে আবহাওয়া দফতর। সিল্কিয়ারা, বরকোট হল উত্তরকাশীর সেই এলাকা যেখানে ভারী তুষারপাত হয়। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী এখানে তুষারপাত হলে অবশ্যই উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হবে। তুষারপাতের পর বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান ঠাণ্ডার কারণে টানেলের শ্রমিকরা এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত লোকজনও সমস্যায় পড়বেন।

শনিবার থেকে, কর্মকর্তারা দুটি বিকল্পের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। অবশিষ্ট ১০ বা ১২ মিটার ধ্বংসাবশেষে হাত দিয়ে 'ড্রিলিং' বা উপরে থেকে ৮৬ মিটার নিচে 'ড্রিলিং'। এদিকে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতা হাসনাইন দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, "এই অপারেশনে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।"

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির মতে, ইতিমধ্যেই পাইপের মধ্যে সরঞ্জাম ঢোকানো হয়েছে যার ভিতরে ম্যানুয়াল ড্রিলিং করা হবে, যা সরানো হচ্ছে। এটি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, হাত দিয়ে ড্রিলিং শুরু হবে যা একটি অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। শনিবার ১.৫ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তায় উল্লম্ব 'ড্রিলিং'-এর জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া হয়। এই রুটটি কয়েকদিনের মধ্যে তৈরি করেছে সীমান্ত সড়ক সংস্থা।

ধমি শনিবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ব্লেডের প্রায় ২০ টি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে এবং অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে হায়দ্রাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার বিমানে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা হলে ‘ম্যানুয়াল ড্রিলিং’ শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টানেলের ভিতরে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করতে রাজ্যে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে প্রতিদিন তথ্য নিচ্ছেন। অগার মেশিনে কাজ ব্যাহত হওয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের উদ্বেগ বাড়ছে।

ছয় ইঞ্চি চওড়া পাইপের মাধ্যমে কর্মীদের জন্য খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠানো হচ্ছে। পাইপ ব্যবহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনডিআরএফ-এর চিকিৎসকদের দলও কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে অবিরাম কথা বলছে।

এই পাইপের মাধ্যমে টানেলের মধ্যে একটি এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরাও ঢোকানো হয়েছে, যার মাধ্যমে উদ্ধারকর্মীরা ভিতরের পরিস্থিতি দেখতে সক্ষম। এর মাধ্যমে শ্রমিকদের অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকরা নিরাপদে থাকলেও তাদের মনোবল ভেঙে পড়ছে।

চারধাম যাত্রা রুটে তৈরি করা টানেলের একটি অংশ ১২ই নভেম্বর, দীপাবলির দিন ভেঙে পড়েছিল, যার কারণে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। এরপর থেকে তাদের বের করতে বিভিন্ন সংস্থা যুদ্ধকালীন তৎপরতা চালালেও এখন পর্যন্ত একজন শ্রমিককেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে উদ্ধারকারী সংস্থাগুলি তাদের চাপ কমাতে ভিতরে লুডু ও তাস পাঠিয়েছে। এসব খেলে শ্রমিকরা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারছে। শ্রমিকরা বেরিয়ে এলে তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে ৪১ টি শয্যা সংরক্ষিত করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী ধমি এখানে একটি অস্থায়ী শিবির স্থাপন করে উদ্ধার অভিযান অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

Uttarkashi Tunnel Collapse
Advertisment