Bangladesh-Protests: আওয়ামি লিগ এই আন্দোলনকে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার একটি ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে।
Violence returned to the Bangladesh streets: দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দেশ ছেড়েছেন। সেনাবাহিনীর কপ্টারে দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে। তার আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। এর আগে সোমবার কার্ফু উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা পথে নামেন। কার্ফু চলাকালীন আন্দোলনকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ৩০০ জন প্রাণ হারান।
Advertisment
গত মাসে শুরু হয়েছিল আন্দোলন গত মাসে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করা প্রবীণ সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রয়েছে। সেই কোটা বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিক্রিয়ায় হাসিনা বলেন, 'বিক্ষোভকারীরা নাশকতায় জড়িত। তারা ধ্বংসকারী। তারা ছাত্র নয়।' এই পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রক সব নাগরিককে বাংলাদেশে ভ্রমণ এড়াতে এবং সেখানে বসবাসকারীদের চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে, তাঁদের চলাচল সীমিত করতে এবং ঢাকার হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা, বাংলাদেশে, রবিবার, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, সাম্প্রতিক দেশব্যাপী ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহতদের বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ একটি সমাবেশে অংশগ্রহণ করে। (এপি ছবি)
Advertisment
আন্দোলনকারীরা আবার রাস্তায় কেন?
সরকার আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা 'অসহযোগিতা'র আহ্বান জানানোয়, হিংসা নতুন করে ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা জনগণকে ট্যাক্স বা ইউটিলিটি বিল না দেওয়ার এবং রবিবার কাজে হাজির না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অফিস, ব্যাংক এবং কারখানা খোলা থাকলেও ঢাকা এবং অন্যান্য শহরে কর্মীরা চাকরিতে যোগ দিতে বাধা পেয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা ঢাকার শাহবাগ এলাকার একটি প্রধান সরকারি হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর করছে। অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ জনতাকে লক্ষ্য করে বুলেট, রবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে। বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ও ক্ষমতাসীন দলের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। টিভি ফুটেজ অনুযায়ী, হামলাকারীদের কয়েকজনের কাছে ধারাল অস্ত্র এবং লাঠি ছিল। ঢাকার উত্তরা এলাকায়, একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধকারী শত শত মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালায়। এলাকার একটি কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার অফিসে ভাঙচুর চালায়। সেখানে শাসক দলের শত শত কর্মী আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই জায়গা থেকে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভ চলাকালীন রাস্তায় আগুন থেকে ধোঁয়া উঠছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর, ঢাকা, বাংলাদেশ, ৪ আগস্ট, ২০২৪। (ছবি: রয়টার্স)
একমাসেরও কম সময় আগে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধে লড়াই করা প্রবীণ সৈনিকদের পরিবারের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। তখন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে প্রবীণ সৈনিকদের কোটা কমিয়ে ৫ শতাংশ করতে হবে। ৯৩ শতাংশ চাকরি মেধার ভিত্তিতে হবে। বাকি ২ শতাংশ জাতিগত সংখ্যালঘু এবং ট্রান্সজেন্ডার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত হবে। সরকার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার জন্য সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করে। বলপ্রয়োগের জন্য সরকারকে দায়ী করে। সাম্প্রতিক সপ্তাহে অন্তত ১১,০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আওয়ামি লিগ এই আন্দোলনকে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার একটি ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে।