সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যালেস্তাইনের প্রতি সমর্থন দেখানো অনেক পোস্টে একটি জনপ্রিয় প্রতীক হল তরমুজ। কাটা ফলের ছবি এবং ইমোজি। সেই সঙ্গে, তরমুজ নিয়ে নানা শিল্পকর্ম প্রায়ই প্যালেস্তিনীয় জনগণের প্রতি সমবেদনা দেখাতে ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন হল, একটি তরমুজকে কেন প্যালেস্তিনীয় সংগ্রামের প্রতীক ধরা হচ্ছে? এর কারণ সহজে অনেকেই বলে দিতে পারবেন। কিন্তু, তার ইতিহাসটা বেশ দীর্ঘ।
Advertisment
কেন তরমুজই প্রতীক একটি তরমুজ যখন কাটা হয় তখন প্যালেস্তাইনের পতাকার রং দেখায়- লাল, সবুজ, কালো এবং সাদা। যেহেতু প্যালেস্তিনীয় পতাকা বহন এবং প্রদর্শন ইজরায়েল নিষিদ্ধ করেছে, তাই পতাকার পরিবর্তে একটি তরমুজকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করেন যে মার্কিন-সদর দফতরের বড় মঞ্চগুলোয় প্রকাশ্যে প্যালেস্তাইনের চিহ্ন-সহ পোস্ট নিষিদ্ধ। সেই কারণে এখানেও কাটা তরমুজ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পশ্চিম তীর থেকে গাজা, প্যালেস্তাইনের বহু জায়গায় ব্যাপকভাবে তরমুজের চাষ হয়। পাশাপাশি, প্যালেস্তাইনের রান্নাতেও তরমুজের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
প্রতিবাদে এর ব্যবহার হামাসের হামলার পর ইজরায়েল গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। এককথায় গাজা রক্তস্নাত। গাজায় এই রক্তস্নান শুরু হওয়ার আগে এবছর গোড়া থেকেই উত্তপ্ত হয়ে হয়েছিল প্যালেস্তাইন। জানুয়ারিতে ইজরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতামার বেন গভির দাবি করেছিলেন যে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কোনও প্যালেস্তিনীয় পতাকা প্রকাশ্যে উড়তে না-পারে। প্যালেস্তিনীয় পতাকা ওড়ানো ইজরায়েলে আইনত নিষিদ্ধ নয়। তবে, পুলিশ হামেশাই ধরপাকড় চালায়। ইজরায়েল পুলিশের দাবি, এতে 'শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে'। গ্রেফতার অব্যাহত থাকায়, জুন মাসে, জাজিম নামে একটি সংস্থা তেল আবিবে তাদের ট্যাক্সিতে কাটা তরমুজের ছবি সেঁটে দিতে শুরু করে। সঙ্গে লিখে দেয়- 'এটি প্যালেস্তাইনের পতাকা নয়।' এর অনেক আগে প্যালেস্তিনীয় শিল্পী খালেদ হুরানি ২০০৭ সালে সাবজেক্টিভ অ্যাটলাস অফ প্যালেস্টাইন প্রকল্পের জন্য তরমুজের একটি টুকরো এঁকেছিলেন। তাঁর কাজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর, তা প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তরমুজের সংযুক্তিকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে।