আমেরিকায় কোভিড-১৯-এর আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এক গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে অতিমারীর প্রভাব সর্বত্র এক রকম নয়, সম্পদ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশাল পলিসি ইনস্টিট্যুটের এই গবেষণা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে-র মধ্যে। আমেরিকার ৫০টি স্টেটের ৫৫০০ জন এই সমীক্ষায় অংশ নেন।
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁদের নগদ সম্পত্তির পরিমাণ যত বেশি, তাঁরা তত বেশি পরিমাণে সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ে আগ্রহী। সোশাল পলিসি ইনস্টিট্যুটের ডিরেক্টর মাইকেল গ্রিনস্টাইন-উইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "মানুষের মধ্যে যত বেশি সম্পদ, তাঁদের পছন্দের ক্ষমতা তত বেশি, যেমন সোশাল ডিসট্যান্সিং, যার ফলে তাঁরা নিজেদের ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।"
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে
কম ও মধ্য আয়ের পরিবার তাঁদের হাউজিং ও হেলথকেয়ারের পেমেন্ট দিতে দেরি করেছেন
মোরাটোরিয়ামের সুযোগ থাকলেও হিস্পানিক/লাটিনক্স গোষ্ঠীর বাড়ির মালিকরা (১৪.১ শতাংশ) অহিস্পানিক শ্বেতকায়দের (৬.৪ শতাংশ) তুলনায় বেশি এবং অ-হিস্পানিক কৃষ্ণবর্ণদের (২.৬ শতাংশ) তুলনায় ৫ গুণ বেশি পরিমাণে উৎখাত হতে চলেছেন।
হিস্পানিক/লাটিনক্স (২৭ শতাংশ) এবং কম আয়ের মানুষ (২৯ শতাংশ)রা কাজ খোয়ানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
৩৪ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র- সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়