Advertisment

Weather-Heat-Rain: আবহাওয়ায় বিরাট রদবদল, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, কারণটা জানলে চমকে উঠবেন!

Weather climate: সমুদ্রের সাধারণ পরিস্থিতিতে, বাণিজ্য বায়ু দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এশিয়ার দিকে বিষুবরেখা বরাবর পশ্চিম দিকে ভ্রমণ করে। সমুদ্রের ওপর দিয়ে বায়ু চলাচলের ফলে 'আপওয়েলিং' নামে একটি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সমুদ্র পৃষ্ঠের নীচের ঠান্ডা জল উঠে আসে আর পৃষ্ঠের উষ্ণ জলকে স্থানচ্যুত করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Weather, India, আবহাওয়া, ভারত,

Weather-India: ভারতের আবহাওয়া ইদানিং ঘনঘন বদলাচ্ছে। (ছবি- এক্সপ্রেস)

Weather climate heat rain El Nino La Nina: গত মাসেই ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, ভারতে আসন্ন বর্ষায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, অগাস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশে 'লা নিনা'র প্রভাব দেখা যাবে। আবহাওয়া দফতর আরেকটি সাম্প্রতিক বুলেটিনে উল্লেখ করেছে যে চলতি বছরের শুরু থেকে, 'এল নিনো' দুর্বল হয়ে পড়বে। এই এল নিনো এবং লা নিনা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে থাকে।

Advertisment

এল নিনো এবং লা নিনা কি?

স্প্যানিশ ভাষায় 'এল নিনো'র অর্থ 'ছোট ছেলে'। আর, স্প্যানিশ ভাষায় 'লা নিনা'র অর্থ 'ছোট মেয়ে'। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার উষ্ণ পর্যায়কে এল নিনো এবং শীতল পর্যায়কে লা নিনা বলে। মহাসাগর এবং বায়ুমণ্ডলের জলবায়ু মিশে গিয়ে, মধ্য ও পূর্ব গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে। শুধু ওই অঞ্চলই নয়। এই মিথস্ক্রিয়া বৈশ্বিক আবহাওয়াকেই প্রভাবিত করে।

কোরিওলিস প্রভাব

পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম ঘূর্ণনের ফলে নিরক্ষরেখার উত্তর এবং দক্ষিণে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে প্রবাহিত সমস্ত বাতাস তাদের গতিপথে বেঁকে যায়। ফলে, এই অঞ্চলে বায়ু উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। একে কোরিওলিস ইফেক্ট বা কোরিওলিস প্রভাব বলে। এই কারণে, এই অঞ্চলের বা বেল্টের বায়ু (যাকে বাণিজ্য বায়ু বলা হয়), বিষুবরেখার উভয়পাশে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়।

El Nino, La Nina, এল নিনো, লা নিনা,
El Nino-La Nina: বিশ্বের আবহাওয়ায় প্রভাব ফেলছে লা নিনা। (চিত্রঋণ- এনওএএ, আমেরিকা)

বাণিজ্য বায়ুর গতিপথ এবং এল নিনো

সমুদ্রের সাধারণ পরিস্থিতিতে, বাণিজ্য বায়ু দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এশিয়ার দিকে বিষুবরেখা বরাবর পশ্চিম দিকে ভ্রমণ করে। সমুদ্রের ওপর দিয়ে বায়ু চলাচলের ফলে 'আপওয়েলিং' নামে একটি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচের ঠান্ডা জল উঠে আসে। আর, পৃষ্ঠের উষ্ণ জলকে স্থানচ্যুত করে। কখনও কখনও দুর্বল বাণিজ্য বায়ু, দক্ষিণ আমেরিকার দিকে ফিরে যায়। কিন্তু, সেখানে সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলে না। এইভাবে, নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগর বরাবর সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ হয়ে ওঠে। যা এল নিনোর অবস্থা তৈরির কারণ হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন- একই যাত্রায় পৃথক ফল! কেজরিওয়াল জামিন পেলেও সোরেন কারাগারেই, পিছনে কোন রহস্য?

লা নিনার উদ্ভব

আর, লা নিনার সময়, শক্তিশালী বাণিজ্য বাতাস উষ্ণ জলকে এশিয়ার দিকে ঠেলে দেয়। একইসঙ্গে, দক্ষিণ আমেরিকার দিকে ঠান্ডা জলের জন্ম দেয়। জলবায়ুগতভাবে, এল নিনো এবং লা নিনা হল বিপরীত পর্যায় যাকে সম্মিলিতভাবে এল নিনো সাউদার্ন অসিলেশন (ENSO) চক্র বলা হয়। এল নিনোর ঘটনা লা নিনার চেয়ে অনেক বেশি ঘনঘন হয়। প্রতি দুই থেকে সাত বছরে অন্তত একবার জলবায়ুর স্বাভাবিক পরিস্থিতি, এল নিনো অথবা লা নিনা দ্বারা বিঘ্নিত হয়।

Indian Ocean Climate Change weather India
Advertisment