Weight-loss drug tirzepatide: ওজন কমানোর ওষুধ টির্জেপাটাইডকে শীঘ্রই ভারতে ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ওষুধকে 'গেম-চেঞ্জিং' বলা হচ্ছে। কারণ, বহু মানুষ ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন। আর, সেই কারণে তাঁরা কোনও ওষুধ চাইছেন, যাতে ওবেসিটি কমে। তবে, এই ওষুধ ওজন কমানোর কোনও এককালীন অলৌকিক সমাধান নয়। ট্রায়াল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওজন কমানোর এই ওষুধ নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। তবেই, ওবেসিটি বা ওজন বৃদ্ধি রোধ করা যাবে।
১) Weight-loss drug in Europe-USA: ওজন কমানোর ওষুধের ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যবহার
ইউরোপ এবং আমেরিকায় ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার নতুন নয়। তবে, ভারতে এই ব্যবহার নতুন। আর, এখানেই টির্জেপাটাইডকে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে। তবে এই ওষুধ এখনও ভারতে বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ নয়। কারণ, ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং মোদী সরকারের ছাড়পত্র দেওয়া বাকি। তাছাড়া বিদেশেও এই ওষুধের চাহিদা বেশ বেশি। সেই কারণেও এই ওষুধ ভারতে আসতে দেরি হচ্ছে। তবে শীঘ্রই পরিস্থিতি বদলাবে। গত সপ্তাহেই যেমন প্রথমবার, ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ড্রাগ টির্জেপটাইডকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এনিয়ে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর, ওষুধটিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। ওষুধটির নির্মাতা এলি লিলি। তারাই ভারতের বাজারে ওষুধটি চালু করতে চায়।
২) Weight-loss drug for Diabetes: ওজন কমানোর জন্য ডায়াবেটিসের ওষুধ
২০১৭ সালে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোখার জন্য ওষুধ ওজেম্পিককে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন দিয়েছিল। ওই ওষুধও ওজন কমায়। সেই ওষুধের নির্মাতা ডেনিশ ফার্মা জায়ান্ট নভো নরডিস্ক। তবে, তাদের সেই ওষুধে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া খুঁজে পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিত্সকরা। কারণ, ওই ওষুধের মধ্যে রয়েছে সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড। ২০২৩ সালের নভেম্বরে, ইউএসএর অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এলি লিলি, স্থূলতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ড্রাগ জেপবাউন্ডের জন্য এফডিএ (FDA) অনুমোদন পেয়েছিল। তার একবছর আগে তারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ওষুধ, মাউঞ্জারো বাজারে এনেছিল।
আরও পড়ুন- নকশালবাদ মহারাষ্ট্রের শহর এলাকায়, দমনে নতুন বিল
৩) ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেপবাউন্ডের সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে বমিবমি ভাব, ডায়ারিয়া, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, বদহজম, যে জায়গায় ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে সেখানে সমস্যা, ক্লান্তি, অ্যালার্জি, চুলকানি, চুল পড়া এবং বুকজ্বালা। আবার থাইরয়েড টিউমারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে এই ওষুধ।