মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেখাতে চাইছে যে তারা ব্রিকস গোষ্ঠীর সম্প্রসারণকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মিশর, ইথিওপিয়া এবং আর্জেন্টিনা এবার এই গ্রুপের অংশ হল। তারপরও কেন গুরুত্ব দিচ্ছে না। নাকি এটা ব্রিকস গোষ্ঠীকে ছোট করে দেখানোর রাজনৈতিক কৌশল? কারণটা যাই হোক না কেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন যে ব্রিকস গোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। কারণ, তাদের স্বার্থ অনেকটাই আলাদা।
Advertisment
যদিও পশ্চিমের অনেক দেশই ব্রিকসের ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসা নিয়ে রীতিমতো সতর্ক। সেটা বিভিন্ন দেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায়। যেমন, নরওয়ের সংবাদপত্র আফটেনপোস্টেন মন্তব্য করেছে যে ব্রিকস গোষ্ঠী, 'স্বৈরাচারী এবং প্রতিক্রিয়াশীল নেতাদের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী ক্লাবে পরিণত হয়েছে, তাদের প্রধান হল চিন এবং রাশিয়া।' ডাচ সংবাদপত্র এনআরসি লিখেছে, 'সত্যি যে, শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এটা চিনের জন্য একটি ধাক্কা। এই গোষ্ঠী এখনও জি৭-এর বিকল্প নয়।'
জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। তবে প্রত্যেক দেশকেই বুঝতে হবে যে, তাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের জন্য কোন গোষ্ঠী উপযুক্ত? কোনটি দীর্ঘমেয়াদি এবং সবচেয়ে বেশি উপকারী। আনালেনা জানিয়েছেন, বার্লিনে সমস্ত নতুন ব্রিকস সদস্যদের জন্য দরজা সর্বদা খুলে রেখেছে। ইরান বাদে ওই সব দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রেখে চলেছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গ্রিনস-এর বৈদেশিক নীতি সমন্বয়কারী রেইনহার্ড বুটিকোফার বলেছেন, এই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকলেও তা ব্রিকসের আন্তর্জাতিক গুরুত্বকে খাটো করেনি। বরং, উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। গোষ্ঠী বড় হওয়ায় ব্রিকসের চরিত্র বদলে যাবে। চিনের আধিপত্য বাড়বে এবং ব্রিকস একটি স্পষ্ট কর্তৃত্ববাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হবে।